এই মুহূর্তে জেলা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে নন্দীগ্রাম আন্দোলন হতো না – কল্যান বন্দোপাধ্যায়।

সুদীপ দাস , ২০ ডিসেম্বর:- বিশ্বাসঘাতক শুভেন্দু অধিকারী, বিশ্বাসঘাতক মুকুল রায়, বিশ্বাসঘাতক সব্যসাচী দত্ত, বিশ্বাসঘাতক শীলভদ্র দত্ত যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বুকের উপর দিয়ে চলে গেলো তাঁদের জবাব দিতে হবে। চুঁচুড়ায় তৃণমূলের হুগলি জেলা বঙ্গজননীর জেলা সম্মলন মঞ্চে এসে হুঙ্কার দিলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার। এদিন চুঁচুড়ার বাঘাযতীন ময়দানে বঙ্গজননীর ১ম জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত, সাংসদ তথা রাজ্য বঙ্গজননীর সভানেত্রী কাকলী ঘোষ দস্তিদার, সাংসদ কল্যান ব্যানার্জী, তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব, বঙ্গজননীর হুগলি জেলা সভানেত্রী শিল্পী চ্যাটার্জী সহ তৃণমূল নেতৃত্বরা। এদিন সভা শুরুর আগে মহিলা সঙ্গীত শিল্পীর সাথে ডুয়েটে গলা মেলান সাংসদ কল্যান ব্যানার্জী। এরপর দলীয় পতাকা উত্তোলন ও প্রদীপ প্রজ্জ্বোলন করে সভার শুভ সুচনা হয়। প্রথম বক্তা হিসাবে মঞ্চে উঠেই বিজেপির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন সাংসদ কল্যান ব্যানার্জী। দু’একবার সিপিএমের সমালোচনা করলেও এদিন কল্যানবাবুর ঘন্টাখানেকের বক্তব্য ছিলো বিজেপিকে নিয়েই।

যার সিংহভাগেই নিশানা ছিলো সদ্য বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারীর দিকে। শুভেন্দু অধিকারীর দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলে নন্দীগ্রাম আন্দোলন হতো না। আমিও সেই আন্দোলনে সামিল হয়েছিলাম। আমিও সিঙ্গুরে ছিলাম। এই মঞ্চের অনেকেই দিদির সাথে বিভিন্ন আন্দোলনে ছিলাম। কই আমি তো কোনদিন বলিনি আমার জন্য সেই আন্দোলন হয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন নন্দীগ্রাম থেকে আমার কাছে একের পর এক ফোন আসছে। সেখানকার মানুষ বলছে দাদা একবার এখানে এসে পা রাখুন, আর শুভেন্দু অধিকারীর মুখোশটা খুলে দিয়ে যান। অন্যদিকে সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদারও এদিন শুভেন্দু অধিকারী সহ তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া বেক্তিদের বিশ্বাসঘাতক বলে গর্জে ওঠেন। তিনি বলেন এই বাংলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘাম-রক্তে তৈরী। সেই ঘাম রক্তের উপর দিয়ে মারিয়ে চলে গেলো বিশ্বাসঘাতক শুভেন্দু অধিকারী, বিশ্বাসঘাতক মুকুল রায়, বিশ্সাসঘাতক সব্যসাচী দত্ত, বিশ্বাসঘাতক শীলভদ্র দত্ত যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বুকের উপর দিয়ে চলে গেলেন জবাব দিতে বলবেন। আমরা আছি দিদির সঙ্গে। দিদি তুমি এগিয়ে চলো, কোন কিছু তুমি চিন্তা করবে না।