এই মুহূর্তে কলকাতা

তিন পুলিশ কর্তাকে ডেপুটেশনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত বহাল রাখল কেন্দ্র।

কলকাতা , ১৭ ডিসেম্বর:- জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলা কান্ডে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা তিন পুলিশ কর্তাকে ডেপুটেশনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত বহাল রাখল কেন্দ্র। রাজ্য সরকারের আপত্তি অগ্রাহ্য করে ওই তিন আইপিএস আধিকারিককে আজ কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর তিন আধিকারিকের মধ্যে প্রেসিডেন্সি রেঞ্জের ডিআইজি প্রবীণ ত্রিপাঠিকে সশস্ত্র সীমা বল -এসএসবিতে ৫ বছরের জন্য ডেপুটেশনে পাঠানো হয়েছেহয়েছে। তাঁকে এসএসবির ডিআইজি পদে বদলি করা হচ্ছে। এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) রাজীব মিশ্রকে পাঠানো হচ্ছে ইন্দো টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশের আইজি পদে। তাঁকেও ৫ বছরের জন্য ডেপুটেশনে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডেকে ব্যুরো অব পুলিশ রিসার্চ বিপিআরডি-তে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর ডেপুটেশনের মেয়াদ হবে ৩ বছর। গত বৃহস্পতিবার ডায়মন্ডহারবারে সভা করতে যাওয়ার সময় জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলা চালানো হয়

রাস্তার ধার থেকে ছোঁড়া ইট পাথরে কৈলাস বিজয়র্গীয় সহ বেস কয়েকজন বিজেপি নেতার গাড়ির কাঁচ ভাঙে। রাজ্যপাল ও বিজেপি নেতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পর্যবেক্ষন তিন আইপিএস আধিকারিক অর্থা‍ৎ এডিজি(দক্ষিণবঙ্গ) রাজীব মিশ্র, ডিআইজি(প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ) প্রবীণ ত্রিপাঠী ও ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির নিরাপত্তার যে দায়িত্বে ছিলেন তা তাঁরা দায়িত্ব সহকারে সঠিক ভাবে পালন করেননি। তাই তাঁদের দিল্লিতে ফেরত আনা হচ্ছে। কিন্তু সেই ফেরত আনার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নবান্ন। প্রশাসনের তরফে প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করা হয়নি। তবে নবান্ন সূত্রে জানা গেছে ওই আধিকারিকদের ছাড়া হবে না,তাঁদের নো অবজেকশান সার্টিফিকেট বা এনওসি’ও দেওয়া হবে না।

রাজ্য সরকারের ছাড়পত্র না পেলে ওই আধিকারিকেরা না বাংলা ছেড়ে যেতে পারবেন না অন্য কোথাও যোগদান করতে সমস্যা হবে। নবান্নের দাবি রাজ্য সরকার এই সার্টিফিকেট দিতে বাধ্য নয়। বলা বাহুল্্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই কড়া অবস্থানের পর কেন্দ্র-রাজ্য তীব্র সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হল। দিল্লির পদক্ষেপ নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়ে, আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লাকে চিঠি লিখেছিলেন তৃণমূলের সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, “পরোক্ষে বাংলায় জরুরি অবস্থা জারি করার চেষ্টা চলছে। আইএএস-আইপিএস অফিসারদের ভয় দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য অসৎ। আপনি বা অমিত শাহ কেউই আইনের উর্ধ্বে নন।”