এই মুহূর্তে কলকাতা

সব জল্পনার অবসান তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন কিরে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা শুভেন্দু অধিকারীর।

কলকাতা , ১৬ ডিসেম্বর:- অবশেষে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার রাজ্য বিধানসভায় এসে নিজের ইস্তফা পত্র জমা দেন তিনি। রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন না। ফলে বিধানসভার সচিবের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন শুভেন্দু অধিকারী। তার ভবিষ্যত রাজনৈতিক পরিকল্পনা এবং পদক্ষেপ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা জারি রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে আরও বাড়ল জল্পনা। অতঃপর কি? বিজেপিতে যোগদান নাকি অন্য কোনও রাজনৈতিক পরিকল্পনা? আপাতত এটাই শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে কোটি টাকার প্রশ্ন। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বেরিয়ে অবশ্য এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি শুভেন্দু অধিকারী। শুধুমাত্র নিজের ইস্তফাপত্র সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে দেখিয়ে সোজা নিজের গাড়িতে ওঠেন তিনি। প্রথমে হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্স বা এইচআরবিসির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন শুভেন্দু অধিকারী।

এরপর পরিবহণ মন্ত্রীত্ব সহ তাঁর হাতে থাকা বাকি ২ মন্ত্রীত্বের দফতর থেকে ইস্তফা দেন তিনি। তারপরে ছাড়েন হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান পদ। আর তাকে ঘিরে চলা রাজনৈতিক মহলে জল্পনা আরোও কয়েকগুণ বাড়িয়ে এদিন বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ২০১৬ সালে নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। এদিন তার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফার পর শুভেন্দু অধিকারী পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে থাকবে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। বিধানসভা সূত্রের খবর, শুভেন্দু আধিকারির ইস্তফাপত্র বৈধ নয়। বিধানসভার নিয়ম অনুসারে, বিধানসভার অধ্যক্ষের হাতেই ইস্তফাপত্র জমা দিতে হয়। বিধানসভার সচিবের হাতেই নিজের ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন শুভেন্দু আধিকারি। সচিবের ইস্তফাপত্র গ্রহণ ক্রার এক্তিয়ার না থাকায় এই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হবে কি না সেই নিয়ে প্রশ্ন থাকছে, সূত্রের খবর।