এই মুহূর্তে জেলা

৫১ এ পা শুভেন্দুর , নিজের পরিবর্তে এই দিনে সতীশ সামন্তের জন্মদিনে মেতে ওঠেন তরুন নেতা !


হলদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, ১৫ ডিসেম্বর:- মানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই নিজের জন্মদিনটিকে সেভাবে কোনওদিনই সেলিব্রেশানে আগ্রহ দেখাননি তিনি। পরিবর্তে এই দিনটিকে তিনি পালন করেন সতীশ সামন্তের জন্মদিন হিসেবেই। ১৯৭০ সালের আজকের দিনে কাঁথির অধিকারী পরিবারে জন্মগ্রহন করেন শুভেন্দু। সেই হিসেবে আজ শুভেন্দুর ৫০ পেরিয়ে ৫১ এ পা দিচ্ছেন। অন্যদিকে আজ সতীশ সামন্তর ১২১ তম জন্মদিনটি। আজ হলদিয়ার হেলিপ্যাড ময়দানে শতাধিক দুস্থ মানুষদের বস্ত্রদান, বেশ কয়েকজন প্রতিবন্ধীর হাতে ট্রাই সাইকেল তুলে দেবেন তিনি। অধিকারী পরিবারের মেজ ছেলেটি দীর্ঘদিন ধরেই মনেপ্রাণে জনগনের জন্যই নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।

নন্দীগ্রামের বিজয়া সম্মীলনীর মঞ্চে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর বিয়ে না করার পেছনে আসল কারন এটাই। গোটা জীবনে অকৃতদার থাকতে চান তিনি। রাজনীতির মঞ্চে কোনও কিছুই যেন তাঁর পিছুটান না হয়ে দাঁড়ায় তাই এমন সিদ্ধাম্ত। ভাষণ রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, পদে থাকা বড় বড় নেতারা আমাকে ব্যক্তি আক্রমণ করছেন বুজতে পারবেন জনগণ যখন ভোট দেবে আপনাদের অবস্থা অনিল বসু, বিনয় কোঙার আর লক্ষ্মণ শেঠদের মত হবে। সংবিধানের কথা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে ফর দ্যা পিইপেল, বাই দ্যা পিইপেল অফ দ্যা পিইপেল ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।

কেন পশ্চিমবঙ্গে ফর দ্যা পার্টি, বাই দ্যা পার্টি, অফ দ্যা পার্টি ব্যবস্থা থাকবে। এই গণতন্ত্রের পক্ষে মানুষকে নিয়ে লড়াই এ সেবক শুভেন্দু অধিকারী থাকবে। যারা আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে তারা শুনে রাখুন মানুষ আমাকে ঠিক জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী কোনো পদের লোভ করেন না। মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পর আমার সভাতে লোক আসছে এদের সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক আছে। এই সভায় শুভেন্দুর মন্তব্যের পর রাজনৈতিক জল্পনা শুরু হয়েছে।