এই মুহূর্তে জেলা

হালিশহরে নিহত বিজেপি কর্মীর দেহ নিয়ে মৌন মিছিলে সাংসদ অর্জুন সিং।

ব্যারাকপুর, ১৩ ডিসেম্বর:- হালিশহরে দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হওয়া বিজেপি কর্মী সৈকত ভাওয়ালের মৃতদেহ আসতেই এলাকায় কার্যত শোকের ছায়া নেমে আসে। রবিবার সন্ধেতে হালিশহরের বারেন্দ্র গোলির ডোমপাড়া এলাকা থেকে ওই বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ নিয়ে ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্বরা একটি মৌন মিছিল বের করে রামপ্রসাদ শ্বসানঘাট পর্যন্ত যায়। এদিনের এই মৌন মিছিলে অংশগ্রহন করেন, ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং, জেলা সভাপতি উমাশঙ্কর সিং, বিধায়ক সুনীল সিং, ফাল্গুনী পাত্র সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। প্রসঙ্গত শনিবার বিকেলে হালিশহরের ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগ স্থলে বারেন্দ্র গোলি এলাকায় গৃহ সম্পর্ক অভিযান চলাকালীন তৃণমূলী দুষ্কৃতীদের আক্রমণে খুন হন এলাকার বিজেপির বুথ সভাপতি সৈকত ভাওয়াল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সারা দিন দফায় দফায় উতপ্ত হয়ে ওঠে সমগ্র বীজপুর অঞ্চল।

তবে শনিবার রাতেই এই খুনের ঘটনায় পুলিশ তিন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছিল। ধৃতদের এদিন ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তিনজনকেই ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এছাড়াও পুলিশ এই খুনের ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করে জিঞ্জাসাবাদও করছে বলে জানা গেছে। যদিও এদিন বিকেলে প্রথমে নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যান সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি নিহত কর্মীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখাও করেন। এরপর তিনি নিহত দলীয় কর্মী সৈকতের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে এই নৃশংস খুনের ঘটনায় শাসকদলেকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে বলেন, মমতা বন্দোপাধ্যায় প্রানহানির রাজনীতি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছেন। উনার পক্ষে এই পথটা সঠিক নয়। মমতাকে এই পথ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে হবে। না হলে যে জনরোষ তৈরি হচ্ছে তা ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করবে।

তখন উনার প্রশাসনও সেই জনরোষ সামাল দিতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, যে তৃণমূল নেতাদের অঙ্গুলী হিলনে দলীয় কর্মী সৈকত খুনের ঘটনা ঘটেছে। তারা ভাবছে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বহাল তবিয়তে থাকবেন। কিন্তু তারা মুর্খের স্বর্গে বাস করছেন। তার কথায় যাদের এই খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে পুলিশ জিঞ্জাসাবাদের জন্যে তাদের এদিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চায়নি। জেল হেফাজত চেয়েছে। এর থেকেই প্রমানিত পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কত বড় চক্রান্ত করছে তৃণমূল। যদিও এদিন দলীয় তরফে নিহত কর্মীর পরিবারকে কিছু আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন সাংসদ স্বয়ং। এদিকে দলীয় কর্মী সৈকত খুনের ঘটনায় বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় বলেন,পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু এই খুন তিন জনে মিলে করতে পারে না। আরও অনেকেই এই খুনের ঘটনায় জড়িত আছে। তাদের প্রত্যেকেই ধরতে হবে। যদি সমস্ত অপরাধীরা গ্রেফতার না হয় গনতান্ত্রীক প্রদ্ধতিতে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।