এই মুহূর্তে জেলা

শৌচালয়ে রাখা বোমা ফেটে জখম দুই বালক।

ব্যারাকপুর , ৯ ডিসেম্বর:- বিজেপির জেলা সভাপতির বাড়ির কাছেই বোমা ফেটে জখম দুই বালক। বুধবার বেলা আড়াইটার সময় ঘটনাটি ঘটেছে জগদ্দল থানার আটচালা বাগান রোডের গঙ্গা সিং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বোমার আঘাতে জখম দুই বালকের নাম প্রদীপ মাহাতো ও সুমিত ভগৎ। দুজনে বয়সই দশ বছর। বোমা ফেটে প্রদীপের ডান হাতের কব্জি উড়ে গেছে। অপরদিকে সুমিতের বাঁ দিকের চোখে বোমার স্পিন্টারের আঘাত লেগেছে। গুরুতর জখম দুজনকে প্রথমে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাদেরকে কল্যাণীর জে এন এম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। স্থানীয়দের বক্তব্য, লকডাউনের সময় থেকে স্কুলটি বন্ধ। ছয়-সাতজন বাচ্চা প্রতিদিনের মতো স্কুল চত্বরে খেলা করছিল। স্কুলের শৌচালয়ে রাখা বোমা ফেটে দুজন বাচ্চা গুরুতর আহত হয়েছে। যদিও একাংশের দাবি,স্কুলের পাচিলের ওপার থেকে দুটো বোমা ছুঁড়লে, একটি বোমা ফেটে যায়। আর তাতেই খেলতে থাকা বছর দশেকের ওই দুটি বাচ্চা জখম হয়।

যদিও স্কুলের বাইরে থেকে বোমা ছোঁড়া হয়েছিল নাকি স্কুল চত্বরের ভেতরেই বোমা রাখা ছিল তা নিয়ে স্থানীয়রা দ্বিধাবিভক্ত। এদিকে ঘটনার কিছুক্ষনের মধ্যেই পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে আরেকটি বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন বিধায়ক পবন কুমার সিং ও বিজেপির জেলা সভাপতি উমা শঙ্কর সিং। এই ঘটনা প্রসঙ্গে ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিং জানান,খুবই দুঃখজনক ঘটনা। বোমা ফেটে দুটি বাচ্চা গুরুতর জখম হয়েছে। যদিও তার বক্তব্য এখন স্কুল বন্ধ তাই সঠিকভাবে বলা যাবে না যে বোমগুলি স্কুলের ভেতরেই রাখা ছিল নাকি বাইরে থেকে কেউ ছোঁড়া হয়েছিল। তবে বাচ্চা দুটি যে ভাবে জখম হয়েছে তা দেখে মনে হচ্ছে খুব কাছ থেকেই ওদের শরীরে বোমার আঘাত লেগেছে। তবে তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন এটা সমাজ বিরোধীদের কাজ। ইদানিং এই এলাকায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বেড়ে গিয়েছে।

কিন্তু পুলিশের তরফে কোনও রকম তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। এদিকে বাড়ি পাশে এই ধরনের ঘটনা ঘটায় রীতিমত ক্ষুব্ধ বিজেপির জেলা সভাপতি উমাশঙ্কর সিং। তিনি বলেন, ভাটপাড়া এলাকার পুরোটা সমাজ বিরোধীদের জাল বিছানো রয়েছে। একপ্রকার বোমার স্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। তবে এদিন স্কুল চত্বরে বোমা কোথা থেকে এল তা বলা সম্ভব নয়। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করলেই বোমা কোথা থেকে এল বা কারা রেখেছিল তা পরিষ্কার হবে। যদিও পুলিশ এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত করবে বলে তিনি আশাবাদী নন। উমা শঙ্করবাবু আরও বলেন, খুব খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আশাকরি জখম দুটি বাচ্চা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। এদিকে এলাকায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বেড়ে চলায় উনি পুলিশকে একহাত নিয়েছেন।