এই মুহূর্তে কলকাতা

বন্ধ সমর্থনের নামে হিংসা ছড়ানোর আশঙ্কা ,‘ভারত বনধ’ নিয়ে রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের।

কলকাতা , ৭ ডিসেম্বর:- কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের ডাকা মঙ্গলবারের ভারত বনধ উপলক্ষে সোমবার রাজ্য সরকারগুলিকে বিশেষ নির্দেশিকা পাঠাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাজ্য সরকারগুলিকে পাঠানো ওই অ্যাডভাইজরিতে আগামিকালের ভারত বনধ উপলক্ষে নিরাপত্তা জোরদার করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে যাতে বনধ উপলক্ষে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এবং শান্তি বজায় থাকে, তা সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এমন নির্দেশিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। কেননা, অতীতে কোনও সংগঠনের বনধ বা ধর্মঘট নিয়ে এমন অ্যাডভাইজরি পাঠায়নি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক.। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে গত ১১ দিন ধরে দিল্লির উপকণ্ঠে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন ৬ রাজ্যের কৃষকরা।

মোদি সরকারকে বেকায়দায় ফেলে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে বিদ্রোহী কৃষকদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস, এনসিপি, তৃণমূল কংগ্রেস, আরজেডি, টিআরএস, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা সহ একাধিক বিরোধী দল। ইতিমধ্যেই বিদ্রোহী কৃষকদের বুঝিয়ে আন্দোলন থেকে নিরস্ত করার চেষ্টায় নেমেছেন কেন্দ্রের মন্ত্রীরা। পাঁচ-পাঁচবার কৃষক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। কিন্তু নিস্ফলাই থেকেছে বৈঠক। উল্টে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আগামিকাল দেশজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। বিদ্রোহী কৃষকদের ডাকা বনধকে ইতিমধ্যেই সমর্থন জানিয়েছেন কংগ্রেস, তৃণমূল, আপ, জেএমএম, সপা সহ দেশের সিংহভাগ বিরোধী দল। ফলে আগামিকালের বনধে হিসংসা ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

বনধের সমর্থনে রাস্তায় নেমে যাতে পরিকল্পিত ভাবে অশান্তি না বাংধানো হয়, অশান্তিতে প্রোচনা না দেওয়া হয় এবং আন্দোলনের নামে কোভিড বিধি উড়িয়ে মানুষকে যাতে নতুন করে সঙ্কটের মুখে ঠেলে না দেওয়া হয় তা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে।সেজন্য নির্দেশিকাতেও কোভিড স্বাস্থ্যবিধি ও মহামারী আইনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মুখ্যসচিবদের কাছে অ্যাডভাইজরি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র সচিব। ওই অ্যাডভাইজরিতে বলা হয়েছে, বনধের দিন কোনও মিছিল বের হলে কিংবা কোথাও অবস্থান বিক্ষোভ হলে, যাতে শারীরিক দুরত্ব মেনে চলা হয়, তা নিশ্চিত করা হয়।