কলকাতা , ৬ ডিসেম্বর:- মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে করোনাতে চিকিৎসকরা লড়াই করেছেন ময়দানে, পশ্চিমবঙ্গে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ আসেনি, আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার তুলনামুলক কম তথাপি সচেতনতার জন্য সব ব্যবস্থা জারী রাখা হচ্ছে মাস জুড়ে, বক্তব্য আই এম এ (ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েসনের -র রাজ্য শাখার। ডিসেম্বর মাসে রাস্তায় ও মাঠেঘাটে নেমে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিলি করছে আই এম এ রাজ্য শাখা । উত্তর চব্বিশ পরগনার সদর শহর বারাসাতের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র কলোনী মোড়ে ডিসেম্বর মাসের প্রথম রবিবার আই এম এ -র উদ্যোগে প্রচুর সংখ্যায় মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিলি করা হল। সহযোগী হিসেবে উপস্থিত ছিল সোচ্চার ওয়েলফেয়ার অর্গ্যানাইসেশন। উপস্থিত ছিলেন কোভিড নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক বিবর্তন সাহা।
ছিলেন গৌতম সাহা, ধীমান চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্য চিকিৎসক বৃন্দ যাঁরা উল্লেখযোগ্যভাবে সক্রিয় করোনাযোদ্ধা ।চিকিৎসক বিবর্তন সাহা ও গৌতম সাহা, ধীমান চট্টোপাধ্যায় একযোগে জানান পশ্চিমবঙ্গে মানুষের মধ্যে সচেতনতা পরিলক্ষিত হয়েছে,করোনা আক্রান্তর গ্রাফও নিম্নমুখী তথাপি সজাগ থাকতে হবে। চিকিৎসকরা জানান রাজ্যের সদর্থক ভূমিকা নির্দিষ্ট পরিকাঠামোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হওয়ায় করোনায় অনেকটাই রাশ টানা গেছে। আই এম এ রাজ্য শাখার চিকিৎসকরা জানান আমেরিকার তুলনায় ভারতে বা পশ্চিমবঙ্গে মানুষ ছিল সজাগ ও সচেতন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট করোনা নিয়ে কাজ করে বেড়ান সেরকম নিদর্শন তো পশ্চিমবঙ্গে নেই, কটাক্ষ চিকিৎসক বিবর্তন সাহার। পাশ্চাত্যর তুলনায় পশ্চিমবঙ্গ বা ভারত করোনা নিয়ন্ত্রণে সফল।
দিল্লী বা গুজরাট বাদ দিলে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে দেশে। পশ্চিমবঙ্গ এক্ষেত্রে সামনের সারিতে, দাবী আই এম এ -র তথাপি করোনার ওপরে বাঁধন আলগা করতে নারাজ আই এম এ -র রাজ্য শাখা। চিকিৎসক বিবর্তন সাহা সাংবাদিকদের জানান, রাজ্যের ভূমিকায় উপকৃত হয়েছেন সাধারণ মানুষ, প্রয়োজনে রাজ্য কোভিড উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ায় করোনা নিয়ন্ত্রণে সুফল মিলেছে। কিন্তু রাশ হাল্কা করতে নারাজ আই এম এ তাই কলোনী মোড়ে রবিবার সকালে চার হাজার মাস্ক বা এক হাজার স্যানিটাইজার বিতরণ কর্মসূচির মত লাগাতার জন সচেতনতার কাজ চলবেই ।।