এই মুহূর্তে খেলাধুলা

নর্থ ইস্ট ম্যাচের আগে হিমশিম খাচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ।

প্রসেনজিৎ মাহাতো, ৪ ডিসেম্বর:- চোট-আঘাতের সমস্যা। প্রস্তুতির অভাব। বোঝাপড়ার অভাব। যত কান্ড ইস্টবেঙ্গলে। চলতি আইএসএলে জোড়া হার। শনিবার নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডর মুখোমুখি লাল হলুদ। তবে, তার আগে উদ্বিগ্ন লালহলুদ। চোট আঘাতের সমস্যার পাশাপাশি ফুটবলারদের বোঝাপড়া হচ্ছে না। কারণ, তারা যে এই লিগে খেলতে পারবে, তা নিশ্চিতই হয়েছে মাস দেড়েক আগে। তার পরে দল গড়ে তিন সপ্তাহের প্রস্তুতি। এটা যে যথেষ্ট ছিল না, তা এখন ভাল মতোই বুঝতে পারছেন দলের কোচ ও খেলোয়াড়রা। সে ভাবে প্রস্তুতি ম্যাচও খেলতে পারেনি তারা। তাই একটা নতুন কম্বিনেশনের সেট হতে যতটা ম্যাচ প্র্যাকটিস লাগে, তা পায়নি লাল-হলুদ শিবির। যার ফলে শুরুতেই ধাক্কা খেতে হয়েছে তাদের। এটিকে মোহনবাগানের কাছে দুই ও মুম্বই সিটি এফসি-র কাছে তিন গোল খেয়েছে রবি ফাউলারের দল। দলের সহকারী কোচ টনি গ্রান্ট ক্লাবের ওয়েবসাইটে জানিয়েছেন, বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের চোট ও ফিটনেস সমস্যা নিয়ে তাঁরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

প্রথম ম্যাচে তরুণ মিডফিল্ডার লোকেন মেতেই চোট পেয়েছেন। কত দিনে মাঠে ফিরতে পারবেন জানেন না। এ ছাড়াও বিদেশি মিডফিল্ডার অ্যারন আমাদি হলোওয়েও অনুশীলনের সময় গোড়ালিতে চোট পান। তিনিও মাঠে নামার মতো অবস্থায় নেই। গত ম্যাচে চোট পেলেন ডিফেন্ডার ও অধিনায়ক ড্যানিয়েল ফক্স। তিনি কতগুলি ম্যাচ খেলতে পারবেন না, তাও এখন জানা নেই। এ ছাড়াও শিবিরের খবর, সিনিয়র ভারতীয় তারকা স্ট্রাইকার জেজে লালপেখলুয়া ৯০ মিনিট খেলার মতো অবস্থায় নেই। তাই দল গড়তে রীতিমতো হিমশিম খেতে হবে ফাউলারকে। কোচ অবশ্য তাঁর দলের ছেলেদের নিয়ে আশাবাদী, লিগ যত গড়াবে, তাঁর দল ক্রমশ আরও ধারালো হয়ে উঠবে। দক্ষতা বা পরিকল্পনায় গলদ থাকলে সে সমস্যা কোচ দায়িত্ব নিয়ে দূর করতে পারেন। কিন্তু ফিটনেস সমস্যা বাড়তে থাকলে সেটা শোধারানো বেশ কঠিন।

সবচেয়ে বড় কথা দীর্ঘ লিগে, যেখানে প্রতি দলকে ২০টি করে ম্যাচ খেলতে হবে, তার পরে প্লে অফে আরও তিনটি, সেখানে দলের রিজার্ভ বেঞ্চের শক্তিশালী হওয়া খুবই প্রয়োজন। কিন্তু এসসি ইস্টবেঙ্গল যেখানে লিগের শুরুতে প্রথম এগারোই ঠিকমতো গড়তে পারছে না, সে খানে রিজার্ভ বেঞ্চ নিয়ে যত কম আলোচনা করা যায়, ততই ভাল। ফাউলারের হাতে অবশ্য এমন কয়েকজন ফুটবলার রয়েছেন, যাঁরা ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রাখেন। প্রথম ম্যাচে সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন গত পাঁচ মরশুম ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলে আসা কঙ্গোর তারকা মিডফিল্ডার জাক মাঘোমা এবং আইরিশ মিডফিল্ডার অ্যান্থনি পিলকিংটন। কিন্তু সতীর্থদের কাছ থেকে ঠিকমতো সহায়তা না পাওয়ায় এঁদের কেউই কার্যকরী হয়ে উঠতে পারছেন না। দলকে যতটুকু আশার আলো দেখাচ্ছেন, এঁরা দু’জনই। গোলের সুযোগ তৈরি করা থেকে গোলে শট নেওয়ার ক্ষেত্রে এই দু’জনকে তৎপর হতে দেখা যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু গত দুই ম্যাচেই বিপক্ষের দুর্ভেদ্য ডিফেন্সের দেওয়াল ভাঙতে পারেননি। মাঝমাঠ ও রক্ষণের সমর্থন না পেলে তা সহজও নয়।