এই মুহূর্তে জেলা

যারা দলের মধ্যে থেকে দিনে তৃণমূল , রাতে বিজেপি করবে তাদের ছাড়বেন না – কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়।

হুগলি , ২৯ নভেম্বর:- বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে সরকারের জনমুখী প্রকল্পগুলিকে প্রচারে তুলে ধরলো তৃণমূল। রবিবার শ্রীরামপুরের গান্ধী ময়দানে তৃণমূলের কর্মিসভায় তারই ঝলক মিলেছে। এদিন সমাবেশের মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় বলেন দুটো লাল সালু মমতা টাঙিয়ে দিয়েছে একটা হল দুয়ারে দুয়ারে সরকার। আরেকটা হল স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। সেই লাল সালু দেখে বিজেপি ক্ষাপা ষাঁড়ের মত দৌরচ্ছে। লাল রঙ দেখলেই ষাড় দৌড়য়। দিলীপ থেকে সবাই দৌরচ্ছে। দিলীপ এখন পাগলার মত হাঁটছে। ২০২১ এর পরে দেখবেন মাথা উপরে পা উপরে দিয়ে চলছে দিলীপ। এখন নানা রকম অভিযান হচ্ছে। কারা অ্যারেস্ট হচ্ছে কারা হার্টফেল করে মারা যাচ্ছে। সব সেন্ট্রাল গভমেন্টের লোক। বিএসএফ সিআইএসএফ থেকে সিবিআই তারাই ধরা পরছে। সেন্ট্রালের অফিসারদের যদি ঠিকমত ধরা হয় তাহলে অনেক কেন্দ্রের অনেক মন্ত্রীর নামও আসবে। জানিনা তদন্ত বন্ধ করে দেবে কিনা। ইডি আমরা যখন জানি কোন মহা মুখের সঙ্গে উনি জরিত রয়েছেন আপনি জানতে পারছেন না।

কেন বিজেপিতে আছে বলে। যাদের সারদা নারদা রোজভ্যালীতে অভিযুক্ত ছিলো তারা বিজেপিতে গেলো বলে আগামী দিনে যাবে তাড়া গঙ্গাজলে পবিত্র হয়ে গেলো। অনেকে প্রশ্ন করছে অমুক চলে গেছে তমুক চলে গেছে যাক না কিচ্ছু এসে যায় না। শুধু নজর রাখুন যারা দলের মধ্যে থেকে দিনের বেলা তৃনমূল আর রাতে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাবে তাদের ছাড়বেন না গোপনে যারা আঁতাত করবে তাদের ছাড়বেন না একটাই ফ্লেক্স থাকবে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছবি আর আমরা দিদির সৈনিক। অনেকে অনেক কৃতিত্ব দাবী করছে তাতে কোনো আপত্তি নেই ভবিষ্যৎ নিশ্চই সব উত্তর দেবে। মানুষ ভোলে না কিছু মনে রাখে, কে কার জন্য এগিয়েছে কে কোথায় বেনিফিট পেয়েছে। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে গদ্দারী করছে মানুষ কিন্তু তার উত্তর দিয়ে দেবে।

আমি রামকৃষ্ণ না স্বামী বিবেকানন্দ না ক্ষুদিরাম নিজেকে জাহির করলাম তাতে কিছু হয়না মানুষ যেদিন বলবে সেদিন হবে না হলে না। আমার হয়ত পাঁচশ কোটি হাজার কোটি টাকা আছে কনট্রাক্টর দিয়ে হোডিং লাগিয়ে দিতে পারি তাতেও কিছু হবে না। তিনি আরো বলেন লড়াই এর ফসল আমরা কেউ হেলিকপ্টারে করে আসিনি। আমরা সবাই লড়াই এর ফসল। মমতা বন্দোপাধ্যায় এক এক জায়গায় এক এক জনকে দ্বায়িত্ব দিয়েছিলেন। মমতার নেতৃত্বে সিপিএম এর বিরুদ্ধে লড়াই হয়েছে। লাখো লাখো মানুষ মমতাকে দেখে এসেছিলো। সেই কৃতিত্ব কারও একার নয়। সেই কৃতিত্বের সবচেয় উপরে রয়েছেন মমতা। আমরা দিদির সৈনিক। শুধু মমতা শুধু মমতা, দিদি আর দিদি শুধু মমতার নাম করে হিমালয় পেরিয়ে যেতে পারি। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন শ্রীরামপুরের বিধায়ক ডাঃ সুদীপ্ত রায়, উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, দুই পৌরসভার প্রশাসক বিজয় সাগর মিশ্র, অমিয় মুখোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব, জেলার সাধারণ সম্পাদক সুবীর ঘোষ সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।