এই মুহূর্তে জেলা

ব্যান্ডেলে রেলের উচ্ছেদ রুখতে মুঙ্গেরের লাঠিতেই ভরসা তৃণমূলের , পাল্টা বাসিন্দাদের পাশে থাকার বার্তা বিজেপিরও

সুদীপ দাস , ২৭ নভেম্বর:- বিকল্প ব্যাবস্থা না করে, যদি তোলে যা করার তাই করবো, রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম হবে! ব্যান্ডেলে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের। প্রসঙ্গত ব্যান্ডেল রেল স্টেশন সংলগ্ন সাহেববাগান, সাহেবপাড়া, আমবাগান প্রভৃতি রেলের এলাকায় স্বাধীনতার পর থেকেই বহু পরিবারের বসবাস। সম্প্রতি সেইসমস্ত পরিবারগুলিকে উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছে রেল। এরপর থেকেই আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের নেতৃত্বে ওই এলাকায় দু’দিন আগেই ঝাঁটা হাতে মিছিল বের করা হয়। সেদিনই বিধায়ক বলেছিলেন আজ ঝাঁটা দুদিন পর মুঙ্গেরের লাঠি হাতে বের হবো। রেলের কেউ উচ্ছেদ করতে এলে যাতে এলাকাবাসীরা ঝাঁটা, লাঠি মেরে তাড়ানোর নিদান দেন বিধায়ক। বিধায়কের কথামত আজ লাঠি হাতে মিছিল বের হয়। মিছিলের অগ্রভাগেই ছিলেন চুঁচুড়া বিধায়ক অসিত মজুমদার।

তিনি বলেন গরীব মানুষদের প্রয়োজনে রক্তক্ষয়ী আন্দোলন হবে। বিজেপি সূত্রে খবর গতকালই উচ্ছেদ নিয়ে হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চ্যাটার্জীর সাথে রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েলের কথা হয়। যেখানে আপাতত ছ’মাস উচ্ছেদে স্থগিতাদেশ দেয় রেলমন্ত্রী। এ প্রশ্মের উত্তরে বিধায়ক বলেন ৬ মাস কেন ৬০ বছর হলেও হবেনা, বিকল্প ব্যাবস্থা ছাড়া কোনভাবেই তাঁদেরকে উচ্ছেদ করা চলবে না। অন্যদিকে রেলমন্ত্রীর বার্তা সেখানকার মানুষদের মধ্যে পৌঁছে দিতে বিধায়কের লাঠি মিছিলের পরই উপস্থিত হয় বিজেপি। বিজেপি যুব মোর্চার হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুরেশ সাউয়ের নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারন মানুষকে আশ্বস্ত করেন। এদিন সুরেশ সাউ বিধায়কের রক্তক্ষয়ী আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেন রক্ত আমাদের শরীরে থাকলে ওদের শরীরেও আছে। সুতরাং রক্ত আমাদের ঝড়লে ওদেরও ঝড়বে।