এই মুহূর্তে জেলা

১ লা ডিসেম্বর থেকে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাবে সরকার – মুখ্যমন্ত্রী।

বাঁকুড়া , ২৩ নভেম্বর:- আজ সোমবার বাঁকুড়া সফরে গিয়েছেন পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে ১২০০ মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ১ লা ডিসেম্বর থেকে দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাবে সরকার’। তিনি আরো জানিয়েছেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা দেরি করে পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। রাজ্যে বিভিন্ন স্কিমে কাজ করলে সাধারণ মানুষের কাজ চলে যায় না। এছাড়াও রাজ্যে চাকরির বয়সসীমা বাড়ানো হয়েছে।

সামনে বিধানসভা ভোট, আর তার আগেই মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, নির্বাচনের আগে অনেক রাজনৈতিক দলই নতুন নতুন গজিয়ে উঠবে। অনেকে ব্যাংকে টাকা দিয়ে দেবে। সেই টাকা কিন্তু আপনাদেরই টাকা। টাকাটা নিয়ে নেবেন, কিন্তু ভোট দেবেন না। নির্বাচনের আগে হিংসার পরিস্থিতিতে চেষ্টা করবে, আপনারা কিন্তু সতর্ক থাকবেন। বর্তমানে রাজ্যের সাড়ে সাত কোটি মানুষ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পেয়েছে বলেও জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরো জানিয়েছেন যে, আগামী জুন মাস পর্যন্ত বিনা পয়সায় রেশন দেওয়া হবে রাজ্যবাসীকে। আমাদের সরকার থাকবে, আমরা ওই প্রকল্পের মেয়াদ আরও বাড়িয়ে দেবো।

তিনি আরো জানিয়েছেন, বিষ্ণুপুর ঘরানা সব শিল্প নিয়ে আর্কাইভ তৈরি করা হচ্ছে। ৮ হাজার বিঘা জমিতে মাটি সৃষ্টি প্রকল্পের কাজ চলছে। সব মানুষের বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজও চলছে। একইসঙ্গে ১০০ শতাংশ বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি আরো জানিয়েছেন মাওবাদী হামলায় নিরুদ্দেশের পরিবার চাকরি পেয়েছে। জঙ্গলমহলের ১০ হাজার জুনিয়র কনস্টেবল নিযুক্ত করা হয়েছে।

বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রীদের জানিয়েছেন, মামলা হামলা করা ছাড়া বিজেপি এবং অন্যান্য বিরোধী দল, এদের আর কোনো কাজই নেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে সরাসরি কটাক্ষ করে তিনি জানিয়েছেন, স্টার হোটেল থেকে ভাত এনে দলিতের বাড়িতে খেয়েছেন। এসব ভাওতা মানুষ বুঝে গিয়েছে। বিরসা মুন্ডার গলায় মালা পড়ানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিরসা মুন্ডার জায়গায় অন্য কারোর মূর্তি তে মালা দিয়েছেন। আগামী দিনে বিরসা মুন্ডার জন্মদিনের রাজ্যে ছুটি ঘোষণা করা হতে পারে। তিনি পরিযায়ী শ্রমিক দের উদ্দেশে জানিয়েছে যে, বাঁকুড়া জেলার ৩২ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক বর্তমানে কাজ করছে। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের ৪০ শতাংশ বেকারি বেড়েছে, কিন্তু রাজ্যে ৪০ শতাংশ বেকারি কমেছে।