এই মুহূর্তে কলকাতা

ফের রাজ্যের চিঠি রেলকে।

কলকাতা , ২১ নভেম্বর:- ফের রাজ্যের চিঠি রেলকে। শনিবার সন্ধ্যায় চিঠি দেওয়া হয়েছে রেলকে। যাত্রী সমস্যা ও যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয় সামনে রেখেই ফের চিঠি দেওয়া হল রাজ্যকে। আগামী সপ্তাহে এই বিষয়ে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা লাগোয়া শহরতলির বাইরে থেকে বহু মানুষ কলকাতায় আসেন। মুলত সেই সব এলাকার মানুষদের জন্যে রেল পরিষেবাকে আরও বিস্তৃত করতে চায় নবান্ন। সেই কারণেই শনিবার রাজ্যের পরিবহন সচিব চিঠি দিয়েছে রেলকে। কালী পুজোর আগে হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশন থেকে শুধুমাত্র শহরতলি রুটে লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমোদন দেওয়া হয়। এবার রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলে ট্রেন চলাচলের অনুমোদন দিল রাজ্য সরকার। প্রথম দফায় রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হয়েছে গত ১১ নভেম্বর থেকে। কিন্তু সেই সময় বেশ কিছু নন-সাবার্বান রুটে রেল চলাচলের অনুমোদন দেয়নি নবান্ন।

এ দিকে জেলার বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য নন-সাবার্বান বিভাগে ট্রেন না চলায় যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়, যার চাপ এসে পড়ে প্রশাসনের উপরে। ফলে বাধ্য হয়েই রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় নবান্ন। যদিও এখনও ছাড়পত্র পৌঁছয়নি বলে দাবি করছে রেল কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, ট্রেন চলায় মহানগরের সঙ্গে রেলসূত্রে যুক্ত হয়েছে বেশ কিছু জেলা। তবে এখনও ব্রাত্য বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, বর্ধমানের একটি বড় অংশ। বর্ধমান-সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনে চলছে না লোকাল ট্রেন। কাটোয়া-আজিমগঞ্জ শাখায় ট্রেন চলছে না। আজিমগঞ্জ-রামপুরহাট শাখায়ও ট্রেন বন্ধ। বহরমপুরের সাংসদ অধীর চোধুরী রেলমন্ত্রীকে অবিলম্বে এই ট্রেন চালানোর দাবি জানিয়েছেন। হাঁসন কেন্দ্রের বিধায়ক মিল্টন রশিদও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন বীরভূম জেলায় লোকাল ট্রেন চালুর জন্য। কোভিড সংক্রমণ রোধে ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট নিয়মাবলী চালু করেছে রেল মন্ত্রক। সেই বিধি মেনেই লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হয়েছে রাজ্যে।

জেলা স্তরে রেল যোগাযোগ চালু হলেও একই নিয়মাবলী মেনে চলা আবশ্যিক করা হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, রেল বিধিতে জানানো হয়েছে, প্ল্যাটফর্মে আলাদা ঘর রাখতে হবে। কোনও যাত্রী উপসর্গযুক্ত হলে তাঁকে সেই ঘরে আলাদা করে রেখে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য পাঠাতে হবে। প্রতিটি স্টেশনে গণ পরিবহণ যাতে পর্যাপ্ত সংখ্যায় থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে জেলাগুলিকেই। কাছাকাছি একাধিক স্টেশনের মধ্যেও পরিবহণ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে হবে। হকার ও ভেন্ডারকে স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হবে না। রেল কর্তৃপক্ষ রাজ্য সরকারকে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে বলেছে তার মধ্যে অন্যতম হল, মেজর স্টেশনগুলোতে নোডাল অফিসার তৈরি করা হোক রাজ্যের পক্ষ থেকে। রাজ্যের পুলিশ যেন ঢোকা বেরোনো নিয়ন্ত্রণ ঠিক করে, সেদিকে জোর দিচ্ছে রেল।