এই মুহূর্তে জেলা

মন মানলো না ! তাই ২৪ঘন্টার মধ্যে ঘট পুজোই বদলে গেলো মূর্তি পুজোয়।


হুগলি , ২০ নভেম্বর:- মন মানলো না ! তাই ২৪ঘন্টার মধ্যে ঘট পুজোই বদলে গেলো মূর্তি পুজোয়। পঞ্চমীর সকালে মিটিং-এর পর বিকেলেই শুরু হলো সুবিশাল জগদ্ধাত্রীর মূর্তি তৈরীর কাজ। ষষ্ঠীর রাতের মধ্যেই অবিশ্বাস্যভাবে সেই মৃন্ময়ী মূর্তির চিন্ময়ীর রূপ নেওয়ার কথা। চন্দননগর বলেই বোধহয় সম্ভব। চন্দননগরের শীতলাতলা বাউরীপাড়া সার্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি ২৪ঘন্টার মধ্যেই জগদ্ধাত্রীর মূর্তি তৈরীর তকমা পেতে চলেছে। করোনা আবহে চন্দননগরের হাতেগোনা কয়েকটি পুজো কমিটির মত বাউরীপাড়াও ভেবেছিলো এবারে তারা ঘট পুজো করবে। কিন্তু চতুর্থীর দিন পর্যন্ত সেটাই ঠিক ছিলো। কিন্তু মন যেন কিছুতেই মানছিলো না! মায়ের মূর্তি না থাকলে যে উৎসবের বাতাবরনই তৈরী হবে না।

এলাকাবাসীদের আবেগের কথা ভেবে তরিঘরি পঞ্চমীর সকালে পুজো কমিটি জরুরী বৈঠকে বসে। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত সবই যখন হচ্ছে তাহলে মূর্তি নয় কেনো ? যেই ভাবা, সেই কাজ! তড়িঘরি বিকেলের মধ্যেই শুরু হয় জগদ্ধাত্রীর স্থায়ী কাঠামোতে খড় বাঁধার কাজ। রাতের মধ্যেই মাটি পরে যায় কাঠামোতে। আজ প্রতিমা শিল্পী মহাদেব পালের সাথে মাটি শুকনোর কাজে হাত লাগান পুজো কমিটির সদস্যরাও। কমিটির বক্তব্য আজ রাতের মধ্যেই প্রতিমা তৈরী হয়ে যাবে। আগামিকাল থেকেই ডাকের সাজের এই সাবেকী মূর্তি পুজিত হবেন। তবে যে যাই বলুক চন্দননগরের মত সুবিশাল সাবেকী মায়ের মূর্তি সাম্প্রতিক ইতিহাসে একরাতের মধ্যে কোথায় তৈরী হয়েছে তা মনে করতে পারছেন না চন্দননগরবাসী।