এই মুহূর্তে কলকাতা

গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি নিয়ে নবান্নে বৈঠক।

কলকাতা , ১৯ নভেম্বর:- অতিমারীর আবহে গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যার্থীর ভিড় কমাতে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে। ভিড় এড়িয়ে পুণ্যার্থীরা যাতে বাড়িতে বসেই পূণ্য সঞ্চয়ের সুযোগ পান সেজন্য অনলাইন মেলা দর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নবান্নে আজ গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি নিয়ে এক বৈঠক বসে। সেখানে ‘ই-গঙ্গাসাগর মেলা ২০২১ নামে একটি অ্যাপ চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। এই অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে মেলা দর্শনের পাশাপাশি তীর্থের জলও অর্ডার করা যাবে। কোভিড পরিস্থিতিতে যাঁরা গঙ্গাসাগর যেতে পারবেন না, তারা বাড়িতে বসে সাগরের জলে স্নান করে পুণ্য সঞ্চয় করতে পারবেন। পাশাপাশি কোভিড পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ও নিরাপদ ভাবে মেলা আয়োজন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়। মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরা ও গঙ্গাসাগর মেলার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত দফতরের আধিকারিকরাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা চত্বরে যে অস্থায়ী ছাউনি দেওয়া ঘর ও থাকার জায়গা তৈরি হয় কর্মী ও সাংবাদিকদের জন্য, সেগুলি বানানোর সময়ে সোশ্যাল ডিসটেন্স মেনটেন করতে হবে। সেগুলি নিয়মিত স্যানিটাইজ করতে হবে। মেলায় যাতায়াতের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, পরিবহণ দফতরকে তা দেখতে বলা হয়েছে। গঙ্গাসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত সমস্ত রাস্তাও দ্রুত মেরামতির জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে কোভিড পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে, মেলায় এবার বাড়তি তিনটি ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স ও দুটি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স রাখা হচ্ছে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে যাতে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায় সেকারনেই বাড়তি পরিকাঠামো তৈরি রাখা হয়েছে। প্রতিবারের মত এবারও কোনও পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগর মেলায় কোনও দুর্ঘটনার জেরে মারা গেলে তার পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কোভিড পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলা আয়োজনের বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। চলতি বছর মেলার বাজেট ধার্য করা হয়েছে ৬১ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা। গত বছর তাছিল ৩৯ কোটি ৩০ লক্ষ। বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে, ৫ জানুয়ারি থেকেই ভলান্টিয়ার, এনডিআরএফ, পুলিশ, কোস্ট গার্ড– সব রকমের নিরাপত্তারক্ষীদের মোতায়েন করা শুরু হবে। ড্রোন-ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে গোটা মেলা। নিরাপত্তার সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না সেই সঙ্গে, কোনও পুণ্যার্থীর যদি মেলায় এসে কোভিডের লক্ষণ ধরা পড়ে, তাঁকে দ্রুত আইসলেট করে নমুনা পরীক্ষার ও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।