হাওড়া , ৯ নভেম্বর:- কোভিড পরিস্থিতিতে কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর আগামী বুধবার থেকে ফের চালু হতে চলেছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। পূর্ব রেলের তরফ থেকে সোমবার হাওড়া স্টেশনে সকাল থেকে স্যানিটাইজার করা হচ্ছে। ট্রেনের কামরা থেকে শুরু করে স্টেশন চত্বর সর্বত্রই জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে।পাশাপাশি লোকাল ট্রেন চালানোর আগে টিকিয়াপাড়া কারশেডেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ হয়। হাওড়া স্টেশনেও একই ছবি ধরা পড়েছে। হাওড়া স্টেশনে বহুদিন পর খোলা হয় লোকাল টিকিট কাউন্টার। দীর্ঘ প্রায় কয়েক মাস পর অবশেষে গড়াতে চলেছে লোকাল ট্রেনের চাকা। ১১ নভেম্বর থেকে হাওড়া স্টেশনের পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় লোকাল ট্রেন চালু হচ্ছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে হাওড়া স্টেশন ও টিকিয়াপাড়া কারশেডে লোকাল ট্রেনগুলিকে ফের প্রস্তুত করা হচ্ছে যাত্রী পরিষেবার জন্য। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে অন্যান্য যন্ত্রাংশ মেরামতির কাজ। পাশাপাশি চলছে জীবানুনাশক করার কাজ। যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আসনে বসতে হবে। এছাড়াও প্রত্যেকটি কামরায় বাংলা, হিন্দি এবং ইংরেজিতে পোস্টার লাগানো হচ্ছে সেখানে কোভিড সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য যাত্রীদের অনুরোধ করা হবে। হাওড়া স্টেশনেও চলছে জোর কদমে প্রস্তুতি। পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় লোকাল ট্রেন চালুর আগে চলছে শেষ মুহূর্তে দেখে নেওয়ার কাজ। প্লাটফর্মে ঢোকার আগে প্রত্যেক যাত্রীকে থার্মাল চেকিং করা হবে বলে জানা গেছে। হাওড়া ওল্ড কমপ্লেক্সে ডিউটিতে থাকা চিফ হেলথ ইন্সপেক্টর অজয় কুমার এদিন বলেন, লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার আগে থেকেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি।
আমরা এখানে স্যানিটাইজ করেছি। বসার জায়গা, ওয়েটিং রুম থেকে শুরু করে ট্রেনের বগির ভিতরে স্যানিটাইজ করা হয়েছে। যাত্রী সংখ্যা বাড়তে থাকায় আগামীদিনে আরও স্যানিটাইজেশনের কাজ চলতে থাকবে। লোকাল ট্রেন চালু হলে আরও প্যাসেঞ্জার স্টেশনে আসবে। তারজন্য বড় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তিন শিফটে আমরা প্রতিদিন স্যানিটাইজেশনের কাজ করব। বড় ঘড়ির নিচে ফাস্ট এইড বুথ বসানো হয়েছে। থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। মেন গেটে যাত্রীদেরও থার্মাল স্ক্রিনিং করা হচ্ছে।