এই মুহূর্তে জেলা

চন্দননগরে নেই মন্ডপের কোনো কারুকার্য ,বাতিল আলোর ঝলকানি , ঐতিহ্যের প্রতিমাই পূজিত হবে মণ্ডপে মণ্ডপে।

সুদীপ দাস , ৬ নভেম্বর:- করোনার কোপ চন্দননগরের আলোক শিল্পে পড়েছিল অনেক আগেই, একের পর এক পুজো বাতিল অথবা ছোট হতে হতে, আলোক শিল্পের চাহিদা তলানিতে এসে ঠেকছিল। তবে চন্দননগরের আলোকশিল্পীরা, সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন, যে পুজোটিকে কেন্দ্র করে, তা হলো এখানকারই জগদ্ধাত্রী পুজো। এই জগদ্ধাত্রী পুজোতেই তারা তাদের শ্রেষ্ট আলোর কারসাজি তুলে ধরে মণ্ডপ ও শোভাযাত্রায়। আর সেই আলো দেখেই আকৃষ্ট হয় পুজো উদ্যোক্তারা, পরের বছর পুজোর জন্য বায়না শুরু হয়ে যায় এই পূজার পর থেকেই।

করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় লকডাউন। চায়না থেকে সস্তার এলইডি আলোয় আশা বন্ধ হয়ে যায়। স্বাভাবিক ভাবেই নতুন আলো তৈরি করা অনেকটাই পিছিয়ে যায়। আনলক পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকে এখানকার শিল্পীরা আশায় বুক বেঁধেছিল, কিন্তু দুর্গা পুজোয় সেই আশায় অনেকটাই ব্যাঘাত ঘটেছিল কোর্টের অর্ডারে, আর সেখান থেকেই পুরোপুরি অন্ধকার নেমে এলো জগদ্ধাত্রী পুজোয়। বড় বড় পুজো যেগুলি হয় এখানে, কিছু ঘটে, এবং কিছু সাদামাটা ভাবেই হতে চলেছে, আর স্বাভাবিক ভাবেই,আলোর রোশনাইও থাকছেনা এবার পুজোয়।

তাই বলা যেতেই পারে, এই বছরের পূজার শেষ আলোটিও নিভে গেল চন্দননগরে। যেকটি পুজো হচ্ছে, তাদেরকে মানতে হবে সরকারি নিয়ম, কোর্টের আদেশ। ভিড় যাতে না হয়, সেই বিষয়টিও লক্ষ রাখতে হবে সকলকে। আর সেই দিকটাই ভেবে সমস্ত পুজো উদ্যোক্তারা পুজোর সমস্ত কিছুই বাতিল করে, সাদামাটা ভাবে পুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। থাকছে না মন্ডপের কোনো কারুকার্য। বাতিল হয়েছে আলোর ঝলকানি। শুধু মাত্র ঐতিহ্যের প্রতিমাই পূজিত হবে মণ্ডপে মণ্ডপে। হাজার হাজার আলোকশিল্পী চলে গেছে পুরোপুরি অন্ধকারে।