কলকাতা , ২০ অক্টোবর:- বোধনের ঢাকে কাঠি পড়তে আর দুদিনও বাকি নেই। ইতিমধ্যেই রকমারী থিমের বৈচিত্র এবং চোখ ধাঁধানো আলোয় সেজে পুরো দস্তুর প্রস্তুত শহরের বারোয়ারী পুজোর অধিকাংশ মণ্ডপ। দর্শনার্থীদের ঢল না নামলেও মানুষের আনিগুনি শুরু হয়ে গেছে সেই রবিবার থেকেই। কিন্তু তা স্বত্তেও আগামী দিন গুলোতে কী হবে তা নিয়ে এখনও সংশয়ে পুজো উদ্যোক্তারা। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে মণ্ডপে দর্শানার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ হওয়া এবং তারপর পুজো উদ্যোক্তাদের রায় পূনর্বিবেবচনার আর্জি, চলতি এই ঘটনাপ্রবাহ খানিকটা দোটানায় ফেলে দিয়েছে পুজো উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে আম দর্শকদেরও।
তেবে আপাতত হাইওকোর্টের রায় অনমুযায়ী মণ্ডপে দর্শানার্থীদের প্রবেশ বন্ধই রেখেছে অধিকাংশ পুজো কমিটি। যদিও তারা অনেকেই বলছেন সিদ্ধান্ত আগে জানতে পারলে তাদের ব্যবস্থা নিতে অনেক সুবিধা হত। বাদামতলা আষাঢ় সঙ্ঘের সন্দীপ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, হাইকোর্টের রায় শোনার পড়েই তাঁরা দর্শকদের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে তাতেও মানুষের উৎসাহে ভাঁটা পরেনি পুরোপুরি। চতুর্থি বকেলে আষাঢ সঙ্গ এর মণ্ডপের বাইরে নানা বয়সের মানুষের ভালেই ভিড়। কালীঘাট শ্রী সঙ্ঘের পুজোর থিম এবার বনেদিয়ানা।
অর্থাৎ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বনেদি পরিবারের ভাঙন আর পুজোকে কেন্দ্র করে তাদের বছরে একটা সময় পুজোকে কেন্দ্র করে তাদের শিকড়ের টানে ঘরে ফেরা এই ভাবনাই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তাদের পুজো মণ্ডপে। কিন্তু যদি দর্শকরা মণ্ডপে ঢুকতেই না পারেন তাহলে সবটাই মাঠে মারা যাবে বলে আশঙ্কা উদ্যোক্তাদের। শ্রাসঙ্গের সম্পাদক রতন কুমার গাঙ্গুলীর বলছেন এখন হাইকোর্ট তার রায়ের পূনর্বিবেচনার দিকে তাকিয়ে আছেন তাঁরা। অতিমারীর আবহে সব কিছুই এবার ব্যতিক্রমী। তার ব্যতিক্রম নয় কলকাতার পুজোও। নাহলে পুজোর দুদিন আগেও পুজো নিয়ে ধোঁয়াশা কবে দেখেছে এই শহর ?