এই মুহূর্তে জেলা

কল্পকের কল্পনায় মা দূর্গার আবির্ভাব লকডাউনে !

সুদীপ দাস , ২০ অক্টোবর:- সাধারনের কাছে লকডাউন যখন অভিশাপ, তখন লকডাউনকে কাজে লাগিয়েই নিজের শিল্প কল্পনাকে বাস্তবিক রূপ দিয়েছে চুঁচুড়া ধরমপুর মহিষমর্দিনীতলার বাসিন্দা কল্পক রায়। কল্পক বটানি অনার্সে ২য় বর্ষের ছাত্র। ছোটবেলা থেকে পড়শুনা তার ধ্যান-জ্ঞান হলেও ছবি আঁকতে ভালোবাসতো সে। পাশাপাশি হাতের কাজেও সমান আগ্রহী সে। যদিও পড়ার চাপে সেসবে কোনদিনই সময় দিতে পারেনি কল্পক। তবে লকডাউন যেন শাপে বর হয়েছে তাঁর। মহিষমর্দিনীতলার দম্পতি কালিপদ ও বীনা রায়ের দুই সন্তানের মধ্যে ছোট কল্পক। ব্যান্ডেলের একটি বেসরকারী ইংরেজি মাধ্যম স্কুল থেকে পড়াশুনা শুরু কল্পকের।

কল্পকের মায়ের মতে ছোটবেলা থেকে সে দেব-দেবীর মূর্তি ভালোবাসতো। বাবা-মায়ের হাত ধরে কোন মেলাতে গেলেই সেইসমস্ত মূর্তি কেনার জন্য বায়না করতো কল্পক। পাশাপাশি কল্পকের বাড়ির পাশেই রয়েছে চুঁচুড়ার এক প্রখ্যাত মৃৎশিল্পীর গোলা। তাই ছোট থেকে ঠাকুর তৈরী করা দেখতে দেখতেই বড় হয়েছে সে। ইচ্ছা থাকলেও সময় হচ্ছিলো না। তবে লকডাউনের সময়টাকে কাজে লাগিয়ে মা দূর্গা সহ একাধিক মাটির মূর্তি ঘরে বসেই বানিয়ে ফেলেছে কল্পক। খুশি তাঁর পরিবার। কল্পকের মতে লকডাউনের দিনগুলিতে ঘরে বসে বসেই নিজের কল্পনাকে বাস্তবে ফুটিয়ে তোলার কথা ভেবেছিলাম। এখন ভাবছি লকডাউনটা আমার জীবনে বেশ ভালোই কাটলো।