পশ্চিম মেদিনীপুর , ৬ অক্টোবর:- মঙ্গলবার খড়গপুরে প্রশাসনিক সভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চ থেকেই করলেন একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা। এদিন প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই ‘কর্ণগড় মন্দির সংস্কারের জন্য ১ কোটি টাকা ও খড়গপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের জন্য দিলেন ৫০০ কোটি টাকা। পাশাপাশি এদিন তিনি জানান, রাজ্যে ১০ কোটিরও বেশি মানুষ কে কুপনের মাধ্যমে রেশন দেবে রাজ্য সরকার। তপশিলি সম্প্রদায়ের বয়স্ক ব্যক্তি অর্থাৎ ৬০ বছর পেরোলেই তাদেরকে পেনশন দেবে রাজ্য সরকার। এমনকি, তফশিলি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা দ্রুত বাস্তবায়িত করার নির্দেশ দেন তিনি।
পাশাপাশি প্রশাসনকে নির্দেশ দেন যেসকল শ্রমিক ভিন রাজ্য থেকে ফিরে এসেছেন, যারা এখানে কাজ করতে চান, তাদের কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। শহরের ক্লাবগুলির মতই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে দুর্গাপুজোর জন্য এদিন তিনি ৫০০০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশের অনুমতি থাকলেই পুজোর ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে ক্লাব গুলিকে। কোনও পুজো ১০ বছর হলে, তাকেও অনুমতি দিতে হবে। পুজোয় সরকারি অনুদান নিয়ে কোনরকম দুর্নীতি যাতে না হয় সে কারণেই তিনি পুলিশের মাধ্যমে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন বলেও জানান। এদিনের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে জেলার মানুষদের উদ্দেশ্যে করোনা নিয়ে ফের সতর্ক বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘কারও মধ্যে অন্য অসুখ থাকলেও করোনায় বদলাচ্ছে।
করোনা নিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বাড়িতে কারও করোনা হলেও, মাস্ক পরতে হবে।’ এদিনের সভা থেকেই মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে করোনায় মৃত চিকিৎসকের স্ত্রীকে চাকরি দেন। জেলায় বহুক্ষেত্রে হাতির হানায় প্রাণ হারান অনেকে। সেক্ষেত্রে পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার কথাও এদিন ঘোষণা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হাতির আক্রমণে কেউ মারা গেলে, পরিবারের একজনকে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে।’ পাশাপাশি জঙ্গল মহলে যারা হোমগার্ড হিসাবে পাঁচ বছর কাজ করেছেন তাদেরকে কনস্টেবল হিসেবে ঘোষণা করেন। কেন্দ্র সরকারের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে কেন্দ্র ১০০% দিলে তাঁর আপত্তি নেই।’