এই মুহূর্তে জেলা

দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে বোমা ফাটালেন উত্তপাড়ার বিধায়ক , তাতে আরো ঘি ঢাললো বিজেপি।

হুগলি , ২ অক্টোবর:- বিড়াল দিয়ে মাছ পাহাড়া দেওয়া হচ্ছে, আর সেই বিড়ালই মাছ খেয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছে। বর্তমান তৃণমূল দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ নিয়ে এভাবেই বোমা ফাটালেন উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। প্রত্যেকবারের ন্যায় এবারেও পুজোর আগে সাংবাদিকদের সাথে দেখা করে নিজেদের দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। তিনি বলেন রাজ্যস্তরে হুগলি জেলা নিয়ে মিটিং হওয়ার পরও বিধায়কদের না জানিয়ে চারিদিকে তৃণমূলেরই একটা অংশ বিভিন্ন কর্মসূচী নিচ্ছে। যার ফলে আমাদের গোষ্ঠীকোন্দল ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে।

আর এতে বিজেপি আরও শক্তিশালী হচ্ছে। পাশাপাশি বিজেপির মাটি যে হুগলিতে সত্যিই শক্ত হয়েছে তাও অকপটে স্বীকার করে নেন প্রবীর বাবু। তিনি বলেন লোকসভা ভোটে হুগলি জেলায় আমরা ২টি আসন জিতলেও ১টি নিশ্চিত আসন হেরেছি। এরপর থেকে আজ অবধি আমরা নিজেরা সংঘবদ্ধ হতে পারলাম না। গতকাল শুধুমাত্র হরিপালের বিধায়ক একটা মিছিল করেছেন যেখানে সকল তৃণমূল নেতাকে আমন্ত্রন জানানো হয়েছিলো। কিন্তু তা ছাড়া লোকসভা ভোটের পর থেকে আজ অবধি কেউ এরকম প্রোগ্রাম করেনি।

এদিকে কৃষি বিল নিয়ে প্রবীর বাবু বলেন আমাদের রাজ্য সরকার অনেকদিন আগেই চাষীদের কাছ থেকে সরাসরি ব্যাবসায়ীদের খাদ্যশস্য কেনার সম্মতি দিয়েছিলো। কিন্তু লাইসেন্সধারী ব্যাবসায়ীদের ক্ষেত্রেই সেটা প্রযোজ্য হবে। আর কেন্দ্রের কৃষি বিলের ক্ষেত্রে লাইসেন্সের উল্লেখ নেই। শুধুমাত্র এই জায়গাতেই বিজেপির সাথে আমাদের বিরোধীতা রয়েছে। সর্বোপরি তিনি বলেন এখনও আমরা সংঘবদ্ধ না হলে বিধানসভা নির্বাচনে জয় ধরে রাখতে পারবো না। বিধায়কের কথার পরিপেক্ষিতে বিজেপির সভাপতি শ্যামল বসু বলেন তৃণমূল এমনিতেই এই জেলায় গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত। এতে বিজেপিরই সুবিধা হবে। প্রবীর বাবু সত্যি কথা বলে দিয়েছেন। তাকে সাধুবাদ জানাই।