এই মুহূর্তে জেলা

কৃষি বিল নিয়ে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল: সায়ন্তন বসু ।

শিলিগুড়ি, ২৬ সেপ্টেম্বর:- শনিবার শিলিগুড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। এরপর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন যে নয়া কৃষি বিল নিয়ে জনগণকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা চলছে। কেউ বলছেন নীল চাষিদের মতো বাংলার কৃষকদের অবস্থা হবে। কেউ বলছেন সাধারন কৃষকরা চাষ করতে পারবেন না আম্বানি আদানি চাষ করবে। আর কেউ বলছেন কৃষক বিদ্রোহ করতে হবে। আমি দায়িত্ব নিয়ে এই বিল পড়ে বলছি কোথাও কোন কৃষিমান্ডি তোলা হচ্ছে না। কৃষকরা যদি চায় খোলা বাজারে বিক্রি করবেন এবং তারা যদি চায় কৃষকমান্ডিতে বিক্রি করবেন। যেখানে চাইবেন সেখানেই তাদের ফসল বিক্রি করতে পারবেন। কেউ কৃষকদের বাধ্য করতে পারবেন না। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন দুর্ভাগ্য যে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসে আসরিত কিছু ফোড়ে যাকে অন্য ভাষায় দালাল বলা হয়।

তারা কৃষকদের বাধ্য করে কম দামে পণ্য বিক্রি করতে। এবং সেই পণ্য তারা খোলা বাজারে চড়া দামে বিক্রি করে। এই আইনের ফলে সেইটা বন্ধ হবে। এর ফলে কৃষকের লাভ মানুষের লাভ। ক্ষতি হবে দালাল,ফোড়ে ও রাজনৈতিক দল গুলোর। তার জন্য এতো চেচামেচি চেঁচামেচি এতো কান্নাকাটি। এই আইনের ফলে কৃষকে কোন চাপ দেওয়া যাবে প্রভাব খাটানো যাবে কোন নির্দিষ্ট জায়গায় বিক্রি করার জন্য। পাঞ্জাবের দলগুলো বেশি চেঁচাচ্ছে কেন কারণ বড় বড় কোঅপরের্টিভ আছে। আর তৃণমূল কংগ্রেস চেঁচাচ্ছেন তার সব থেকে বড় উদাহরণ আয়ুষমান ভারত,কৃষক সম্মান নিধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন হ্যাঁ খুব ভাল। আপনি কৃষকদের টাকা দিন। প্রত্যেক কৃষক প্রত্যেক বছর ১২ হাজার টাকা করে পাচ্ছিল। দিদি মনি শর্ত দিয়েছেন আমাকে আগে টাকা দিতে হবে। আমি তারপর ডিস্টিবিওট করবো। কেন কারণ এখানেও কাটমানি।