এই মুহূর্তে কলকাতা

মিষ্টির দোকানে তৈরি মিষ্টির মেয়াদ বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত খাদ্য সামগ্রীর মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফএসএসএআই এর।

কলকাতা , ২৬ সেপ্টেম্বর:- রাজ্যের মিষ্টির দোকানে তৈরি মিষ্টির মেয়াদ বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১ অক্টোবর থেকে মিষ্টিতেও তার মেয়াদ বা একসপায়ারি ডেট উল্লেখ করতে হবে বলে খাদ্য সামগ্রীর মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা FSSAI জানিয়েছে। ইতিমধ্যেই ফুড সেফটি কমিশনারের তরফে রাজ্যকে চিঠি দিয়ে এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্যাকেটজাত নয় এমন মিষ্টির ক্ষেত্রে তার মান যথাযথ তারিখ বা’বেস্ট বিফোর’ উল্লেখ করতে হবে। মিষ্টিতে তার ভালো থাকার মেয়াদ বা ‘এক্সপায়ারি ডেট’ লিখতে হবে। তৈরির উপাদানের উপর নির্ভর করে প্রতিটি মিষ্টির ‘বেস্ট বিফোর’ নির্ধারণ করতে হবে। রসগোল্লা, রসমালাইয়ের মতো মিষ্টি দু’দিনের বেশি রাখা যাবে না।

১ অক্টোবর থেকে রাজ্যের সমস্ত দোকানদারকে বাধ্যতামূলকভাবে ‘বেস্ট বিফোর’ এবং ‘এক্সপায়ারি ডেট’ লিখতে হবে। এই নিয়ম কার্যকর হবে গোটা দেশে। কেন্দ্রীয় খাদ্য নিয়ামক সংস্থা এফএসএসএআইয়ের নির্দেশ, মিষ্টি যে সব ট্রেতে সাজিয়ে রাখা হয় তার গায়ে লিখতে হবে ‘বেস্ট বিফোর ডেট’। অর্থাৎ, কতদিনের মধ্যে সেই মিষ্টি খেয়ে নেওয়া উচিত।
মিষ্টি কবে তৈরি করা হয়েছে, সেটাও উল্লেখ করার জন্য সুপারিশ করেছে তারা। এতদিন যে সব মিষ্টি প্যাকেটে করে বিক্রি হয় শুধু তার কন্টেনারের উপরেই ম্যানুফ্যাকচারিং ডেট এবং কতদিনের মধ্যে সেটা খেতে হবে, তা লেখা থাকত। নতুন নির্দেশিকার ফলে মিষ্টির দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন বিক্রেতারা।
সামনেই দু্র্গাপুজো। আর এই সময় মিষ্টির চাহিদা থাকে অনেক অনেক বেশি। মিষ্টি ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, নয়া নির্দেশিকার জন্য পুজোর সময় ক্রেতাদের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। খরচ অনেকটা বেড়ে যাবে। ফলে মিষ্টির দামও বাড়তে।