এই মুহূর্তে জেলা

মৃন্ময়ী থেকে আর চিন্ময়ী হয়ে ওঠা হলো না। মহালয়া হলো , দু হাজার ‘বিষ’, পাল্টে দিল সব ইতিহাস।

সুদীপ দাস , ১৭ সেপ্টেম্বর:- *ইংরেজি নববর্ষ পালিত হয়েছিল ধুমধাম করেই, কিন্তু তখনো বোঝা যায়নি, যে শুরু হবে সারাটি বছর করোনাসুরের তান্ডবলীলা। সারা বিশ্ব জুড়ে নেমে এলো অন্ধকার।মহালয়ার শেষে যে মৃন্ময়ী, চিন্ময়ী হয়ে উঠতো, সেই মা দুর্গার চোখ রয়ে গেল মৃন্ময়ী হয়েই। শিল্পীর তুলিও থমকে গেল মল-মাসের কোপে। এযেন করোনাসুরের তান্ডব বন্ধ হতে চাইছে না। যে দেবী দুর্গা চিন্ময়ী হয়ে অসুর নাশ করবেন, তাকেও থমকে দিলেন একটি মাস ধরে। করোনাসুর থেকে মুক্তি পেতে চাইছে সমস্ত জীবকূল, কিন্তু করোনাসুরের তান্ডব যেন বন্ধ হতে চাইছেনা।

তার করাল গ্রাসে কোটি কোটি মানুষ, প্রাণ বিসর্জন গেছে তার কোপে কয়েক লক্ষ মানুষের। যার আগমনের অপেক্ষায় থাকতো আপামর বাঙালি, সারাটি বছর, সেই মা দুর্গাও, আশ্বিনের শারদ প্রাতে উদয় হলো না। এমনিতেই করোনার কোপ পড়েছে পুজোতে, তার ওপর মহালয়ায় চোখ আঁকা হলোনা বলে একরাশ ক্ষোভ ঝরে পড়ছে শিল্পীর মুখে। চোখ আঁকা দেখতে এসে বিফল হতে হয়েছে অনেকেই, তারও মুখে শোনা গেছে আক্ষেপের সুর, এযেন মন খারাপের পুজো, এবছর কোথাও যেন একটা তাল কেটে গেছে, সুর মিলছেনা কিছুতেই।