এই মুহূর্তে জেলা

চিনা মাঞ্জার প্রকোপ কমাতে দেশী সুতো-লাটাই প্রদান তৃণমূলের।

সুদীপ দাস , ১৬ সেপ্টেম্বর:- একদিকে নব প্রজন্মের কাছে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রভাব কমছে, অন্যদিকে যারা ওড়াচ্ছেন তাঁদের কাছে চায়না সুতোর প্রভাব বাড়ছে। আর চায়না সুতোর প্রভাব বাড়ায় পক্ষীকূল থেকে শুরু করে সাধারন মানুষেরও প্রান সংশয়ে পড়ছে। দিন কয়েক আগেই চন্দনগরে বড়সড় চিনা মাঞ্জা কারখানার হদিস পেয়েছে পুলিশ। চায়না সুতোর বিরুদ্ধে যতই ধরপাকড় করুক না কেন পুলিশ সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি না করতে পারলে যে এর প্রভাব কমানো যাবে না তা হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছে সরকার। দিনকয়েক বাদেই বিশ্বকর্মা পুজো। আর এই পুজোকে ঘিরেই ঘুড়ি ওড়ানোর চল বাঙালীদের মধ্যে। যদিও সেই চল অনেকটাই কমেছে। তবে বেড়েছে মারন চায়না সুতোর প্রভাব। এবারে ছোটদের মধ্যে ঘুড়ি ওড়াতে ও চায়না সুতোর প্রভাব কমাতে দেশীয় মাঞ্জার সুতির সুতো ভর্তি লাটাই ও দু’টি করে কাগজের ঘুড়ি বিলি করলো হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি।

এই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর জয়দেব অধিকারীর উদ্যোগেই মূলত এই কর্মসুচী গ্রহন করা হয়। জয়দেববাবু বলেন ছোটরা সেভাবে বোঝে না ওদের হাতে বড়রা যে সুতো দেবে তা দিয়েই ওরা ঘুড়ি ওড়াবে। তাই তাঁরা যাতে এবারে চায়না সুতো খপ্পরে না পরে তাই বিশ্বকর্মা পুজোর দিন কয়েক আগেই ওদের হাতে দেশীয় মাঞ্জার সুতির সুতো, লাটাই ও ঘুড়ি তুলে দিলাম। পাশাপাশি তিনি বলেন এদিনের কর্মসুচি থেকে বড়দের মধ্যেও সচেতনতা বাড়বে। জয়দেব বাবুর হাত থেকে ঘুড়ি-লাটাই পেয়ে খুশি খুদেরাও। তারাও বলে এবার থেকে আর চায়না সুতো ব্যাবহার করবে না তারা। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের এই কর্মসুচিকে বাহবা দিচ্ছেন শহরের প্রকৃতি প্রেমীরাও। চুঁচুড়ার প্রকৃতি প্রেমী চন্দন ক্লেমেন্ট সিং বলেন জয়দেব বাবুর মত সবাই এগিয়ে এলে শুধু পাখি নয় চিনা মাঞ্জার কবল থেকে বাঁচবে গোটা প্রানীকুল।