কলকাতা , ১১ সেপ্টেম্বর:- রাজ্যে প্রবেশনে থাকা মহিলা সাব ইন্সপেক্টরদের এবার থেকে শুধুমাত্র মহিলা থানার পাশাপাশি সাধারণ থানাতেও পোস্টিং দেওয়া হবে। যাতে পেশাগতভাবে তাঁরা সব ধরনের কাজ করতে পারেন এবং দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। এই মর্মে এবং সদ্য নিযুক্ত হওয়া অফিসারদের করণীয় কাজ সম্পর্কেও রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর নির্দেশিকা জারি করেছে। দপ্তর সূত্রে খবর চাকরিতে নতুন যোগ দেওয়া আধিকারিকদের তাঁদের অনেকেরই থানায় বা পুলিস বিভাগের কাজ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই। তদন্ত করতে গিয়ে অনেক জায়গায় ফাঁক থেকে যাচ্ছে। যে কারণে আদালতে মামলা মুখ থুবড়ে পড়ছে। অপরাধমূলক ঘটনার বিবরণ ও ব্যাখ্যা ঠিকভাবে লেখা হচ্ছে না কেস ডাইরিতে।
এমনকী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ডিউটিতে গিয়েও তাঁরা দিশাহারা হয়ে পড়ছেন। বড় গোলমাল হলে তাঁরা তা সামলাতে পারছেন না। ওই পরিস্থিতিতে কী করণীয়, তা বুঝতেই সময় লেগে যাচ্ছে। ফলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। কেন তা হচ্ছে, বিশ্লেষণ করতে গিয়ে কর্তারা দেখেন, এই অফিসাররা যখন প্রবেশনে ছিলেন, তখন তাঁদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণে ঘাটতি ছিল। যে কারণে বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু কেন এই ঘাটতি থাকছে? খতিয়ে দেখার সময় কর্তারা লক্ষ্য করেছেন, প্রবেশনারদের সব সময় অপরাধস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ডিউটি কীভাবে করতে হয় এবং কোন পজিশনে থাকতে হয়, সে সম্পর্কে তাঁদের সম্যক ধারণা দেওয়া হচ্ছে না। থানাতেও ঠিকমতো গুরুত্ব পান না তাঁরা। কী শিখলেন, কতটা শিখলেন, পেশাগতভাবে দক্ষতা অর্জন করেছেন কি না, সেই মূল্যায়ন ঠিকভাবে হচ্ছে না।
ফলে এই খামতিগুলি থেকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন কর্তারা। শুধু তাই নয়, অনেক মহিলা অফিসার রয়েছেন, যাঁরা পুরো প্রবেশন পিরিয়ডই কাটিয়ে দিচ্ছেন মহিলা থানায়। এই কারণেই সাধারণ থানা বা ফাঁড়িতে কাজের ধারণা তাঁদের তৈরি হচ্ছে না। সাধারণ থানায় পোস্টিং পেলেই নাজেহাল হচ্ছেন তাঁরা। পুলিসের অন্য ইউনিট সম্পর্কেও তাঁদের জ্ঞান থাকছে না। পুলিসের চাকরিতে যোগ দেওয়া নতুনদের ঝালিয়ে নিতেই একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য পুলিস। নির্দেশিকায় তারা বলেছে, নতুনদের অপরাধস্থলে নিয়ে যেতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ডিউটি দিতে হবে। সেইসঙ্গে নিয়মিত তাঁদের দিয়ে রাতে পেট্রলিং-এর কাজ করানোরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোনও ইউনিটে নয়, দু’বছরের প্রবেশন পিরিয়ডে তাঁদের থানাতেও ডিউটি দিতে হবে। এসপি, ডিআইজি রেঞ্জ এবং কমিশনারেটের সিপিরা তাঁদের কাজের মূল্যায়ন করবেন।