এই মুহূর্তে জেলা

ডিগ্রি থাকা সত্বেও রাজ্যে এখনও পর্যন্ত রেজিষ্ট্রেশন না পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্যপ্রার্থী ভিন রাজ্য থেকে নার্সিং পড়ে আসা স্টাফরা।

হাওড়া , ২ সেপ্টেম্বর:- ডিগ্রি থাকা সত্বেও এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত রেজিষ্ট্রেশন না পেয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন নার্সিং স্টাফরা। বুধবার এদের বেশ কয়েকজন তাদের দাবিপত্র নিয়ে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কর্মসূচি নিলে পুলিশ তাদের দ্বিতীয় হুগলী সেতুর টোলপ্লাজার কাছে নিবড়াগামী লেনে আটকে দেয়। এরপর তাদের দুই প্রতিনিধিকে নবান্নে সংশ্লিষ্ট দফতরে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এদিন নার্সিং স্টাফেরা জানান, তারা বিভিন্ন রাজ্য থেকে নার্সিং পড়ে এসেছেন। সেখানকার রেজিস্ট্রেশন তাদের রয়েছে। এখানে রেজিস্ট্রেশন পাবার জন্য ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিলের অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু তারা ওয়েস্ট বেঙ্গলে নার্সিংয়ের রেজিস্ট্রেশন পাচ্ছেন না। আন্দোলনকারী নার্সিং স্টাফ জয়িতা সাহা বলেন, আমরা পশ্চিমবঙ্গে রেশিপ্রোকাল রেজিস্ট্রেশন পাচ্ছি না। আমরা পূর্ত ভবন আর স্বাস্থ্য ভবনে প্রায় ৩ বছর ধরে ঘুরছি। এখানে আমরা অনেকবার এসেছি। এখন এছাড়া উপায় নেই। এমন প্রায় তিনশ’র মতো স্টাফ রয়েছে।

শ্রীমা মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা বেঙ্গালুরু থেকে সবে পড়ে এসেছি। প্রায় দুই বছর ধরে ঘুরছি কিন্তু ওয়েস্টবেঙ্গল নার্সিং কাউন্সিল আমাদের রেজিস্ট্রেশন দিচ্ছে না। আমরা প্রাইভেট হাসপাতালে কাজ করছি, কোভিড ডিউটি করছি। কিন্তু আমদের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের কাছে ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিলের অনুমোদন আছে। কেন রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হচ্ছেনা তা জানার জন্যই আসা। এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কিচুই জানানো হয়নি। রিয়া মন্ডল জানিয়েছেন, পূর্তভবন থেকে আমাদের জানানো হয়েছে যেহেতু আমরা কর্ণাটক নার্সিং কাউন্সিলের অধীনে সেই কারণে আমরা এখানে চাকরি করতে পারব না। ওখানে গিয়ে আমাদের চাকরি করতে হবে। কিন্তু ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিলের (আইএনসি) অধীনে কর্ণাটক নার্সিং কাউন্সিল। আইএনসি-র সার্টিফিকেটে পরিষ্কারভাবে বলা আছে যেকোন রাজ্যে গিয়ে কাজ করতে পারব। আমাদের রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন। এর জন্য আমরা ভুগছি। সেটাই জানাতে আজ এখানে এসেছি।