এই মুহূর্তে জেলা

আরামবাগের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত ,খতিয়ে দেখতে গেলেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।

হুগলী:-খানাকুল , ২৬ আগস্ট:- আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে কয়েকটি জেলার ভাড়ী বৃষ্টির পূর্বভাস। দু দিনের বৃষ্টিতে হুগলী জেলার আমারবাগ, খানাকুলের বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। জল বেড়েছে দ্বারকেশ্বর ও মুন্ডেশ্বরী নদীতে। নদীর আসে পাশে থাকা মানুষেরা আতঙ্কে রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেয়। যে সমস্ত জায়গায় বন্যার পরিস্থিতি রয়েছে সেই সমস্ত জায়গায় জেলাশসকে গিয়ে বিষয়টি দেখতে।

স্থানীয় আধিকারিকরা রয়েছে তারা পরিস্থিতি খারাপ দেখলে জেলাশাসকে সঙ্গে সঙ্গে জানাবার কথা বলেন। খানাকুলের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বুধবার জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও এবং আরামবাগের নিপেন্দ্র সিং সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা খানাকুলের জগতপুর এলাকায় পৌঁছায়। পরিস্থিতি দেখেন এবং এলাকার মানুষের সাথে কথা বলেন তিনি বলেন আগামী একমাস খানাকুলের বন্যা পরিস্থিতির দিকে গুরুত্ব দিয়ে নজর রাখতে হবে। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান গত দুদিন ধরে একবেলা খেয়ে দিন কাটাচ্ছি। বাড়ির ছাদের উপরে থাকতে হচ্ছে। চারিদিকে জল ঢুকে গেছে। একদিকে করোনার ভয় তার উপর আবার বন্যার পরিস্থিতি। হুগলীর জেলাশাসক “ওয়াই রত্নাকর রাও” বলেন খানাকুল ব্লকে এসেছি নিজের চোখে দেখতে পরিস্থিতি।

এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখছি। সমস্ত জায়গায় আমাদের আধিকারিকরা রয়েছে। তারাও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। এখন পরিস্থিতি আয়ত্তের মধ্যে রয়েছে। যেসব এলাকায় বেশি জল জমেছে, জল বার করার চেষ্টা চলছে। একমাস আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এসডিও এবং বিডিও পৌরসভা এবং পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবে। পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবে। কি জিনিস কোন কোন জায়গাতে লাগবে। কোন কোন জায়গায় প্লাবিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রত্যেকদিন তা নিয়ে আলোচনা করবে। আমিও প্রত্যেকদিন আধিকারিকদের সাথে কথা বলবো। কোন কিছু প্রয়োজন হলে আমার আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবে। সঙ্গে সঙ্গে তা আমরা ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব। একজন এডিএমকে সাব ডিভিশনের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সবদিকে আমরা নজর রাখছি ।