এই মুহূর্তে জেলা

আদালতের রায়ে মুক্তি পেলেন খুনের মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন কাউন্সিলর শৈলেশ রাই।

হাওড়া , ২৪ আগস্ট:- দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে মুক্তি পেলেন খুনের মামলায় অভিযুক্ত হাওড়া পুরসভার ২৯নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর শৈলেশ রাই। তার সঙ্গেই মুক্তি পেয়েছেন আরও পাঁচ অভিযুক্ত। ২০১৬ সালের ১৭জুন হাওড়া থানা এলাকার রাউন্ড ট্যাঙ্ক লেনের শান্তিনিকেতন আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী বিজয় মল্লিক খুন হন। সেই খুনের ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত শৈলেশ সহ মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৩০২ ও ১২০বি ধারায় খুন ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।

এই মামলায় ৩৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল। প্রমাণের অভাবে এরপর দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর সোমবার হাওড়া আদালত প্রাক্তন কাউন্সিলর সহ আরও পাঁচ অভিযুক্তকে মুক্তি দিল। এদিনই প্রথম হাওড়া আদালতে ভার্চুয়াল রায় ঘোষণা করা হয়। উল্লেখ্য, ২০১৬ এর ১৭ জুন হাওড়ার রাউন্ড ট্যাঙ্ক লেনে রাত পৌনে ৯টা নাগাদ খুন হন  আবাসনের নিরাপত্তাকর্মী বিজয় মল্লিক। খুনের ঘটনার প্রায় এক বছর পর গ্রেফতার করা হয় তৎকালীন ২৯ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শৈলেশ রাইকে। এই খুনের ঘটনার মূল চক্রান্তকারী হিসাবে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল তাঁকে। এই মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন ৫ জন। আবাসনে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে সেই খুনের ছবিও ধরা পড়েছিল।

তাতে দেখা গিয়েছিল সাদা জামা পরা এক ব্যক্তি ওই নিরাপত্তাকর্মীকে খুব সামনে থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পারে জমি সংক্রান্ত গোলমালের জেরে এই খুনের ঘটনা। সেই সূত্র ধরে এলাকার এক দুষ্কৃতীকে প্রথম গ্রেফতার করা হয়। এরপর পুলিশ গ্রেফতার করে আরও চারজনকে। সেই তালিকায় ছিল প্রহ্লাদ সিং যিনি একদা ওই কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এরপর গ্রেফতার হন সুপারি কিলার সঞ্জয় যাদব। তিনি ছিলেন ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার ফোর্সের জওয়ান। জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, টাকার লোভেই ওই জওয়ান বিজয়বাবুকে মারার ‘সুপারি’ নিয়েছিলেন। এই খুনের ঘটনায় শৈলেশবাবুরও নাম জড়িয়ে যায়।