এই মুহূর্তে জেলা

রেড লাইট ভায়ওলেশন ডিটেকশন পদ্ধতি চালু হলো চন্দননগর কমিশনারেট এলাকায়।


সুদীপ দাস , ১৯ আগস্ট:- বারুইপুরের পর রাজ্য পুলিশের উদ্যোগে রেড লাইট ভায়ওলেশন ডিটেকশন পদ্ধতি চালু হলো চন্দননগর কমিশনারেট এলাকায়। ট্রাফিক নিয়ম ভাঙলে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরী এই পদ্ধতিতে সহজেই অভিযুক্তের নাগাল পাবে পুলিশ । চন্দননগর কমিশনারেট এলাকায় জিটি রোড ধরে ব্যান্ডেল মোড়, হুগলি মোড় , খাদিনামোড় , বাগবাজার মোড় ও জ্যোতির মোড় মিলিয়ে মোট ৫ জায়গায় নতুন এই সিস্টেম বসানো হয়েছে । যার কন্ট্রোল রুম থাকছে চুঁচুড়ার খাদিনামোড়ে adcp ট্রাফিকের অফিসে । আজ এই কন্ট্রোলরুমের আনুষ্ঠানিক দ্বারোদঘাটন করেন রাজ্য পুলিশের এডিজি ট্রাফিক বিবেক সহায় । নতুন এই সিস্টেমে মোট দু’ধরনের ক্যামেরা নির্দিষ্ট পাঁচটি মোড়ে বসানো হয়েছে। যার ANPR প্রযুক্তির ক্যামেরা প্রতিটি গাড়ির নাম্বার প্লেটের সুস্পষ্ট ছবি তুলে নিতে পারবে এবং স্ক্যান করে তা স্থানীয় পরিবহন দপ্তরে পাঠিয়ে দেবে ।

গাড়ির কাগজপত্র সঠিক থাকলে ছার মিলবে । নতুবা সাত দিনের মধ্যে গাড়ির মালিকের বাড়িতে আইনি চিঠি পৌঁছে যাবে । এদিকে রেড লাইট ভায়ওলেশন ডিটেকশন সিস্টেমে থাকা RLVP ক্যামেরার গুরুত্বও অপরিসীম । করোনা আবহে এই ক্যামেরার মাধ্যমে দেখে নেওয়া যাবে আপনি মাস্ক পরেছেন কিনা । যদি না পরে বাড়ি চলে আসেন তাহলে ভাববেন না যে আপনি পার পেয়ে গেলেন । পুলিশ চাইলেই আপনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারবে । পাশাপাশি রেড লাইট ভায়োলেশন ডিটেকশন সিস্টেম থাকা যে কোন একটি মোড়ে কেউ ট্রাফিক ভেঙে এগিয়ে গেলে পরের মোড়েই তাঁকে ধরে ফেলতে পারবে পুলিশ । বুধবার থেকেই এই সিস্টেম চালু হয়ে গেলো।