শিলিগুড়ি , ১৮ আগস্ট:- শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের টাইপু চা বাগানের হাটখোলা লাইনে ছয় বছরের কিশোরের পায়ে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল । মৃত কিশোরের নাম এসওয়ান্ত লোকার(৬) । জানা গিয়েছে যে বিগত তিন বছর থেকে পায়ের সংক্রমনের সমস্যায় ভুগছিল । এরপর স্থানীয়রা একটি স্বেচ্চাসেবী সংস্থাকে চিকিৎসার করার জন্য বলেন । কিন্তু এলাকাবাসীদের অভিযোগ যে টাইপু চা বাগানের ম্যানেজার কিশোরের চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দেন । এবং ওই স্বেচ্ছাসেবক সংস্থাকে চলে যেতে বলেন । এরপর বেশ কয়েকদিন ধরেই ওই কিশোরের পায়ের সংক্রণ বেড়ে যায় । তখন পরিবারের লোকজন তাকে ওই চা বাগানের হাসপাতালে নিয়ে গেলে ।
সেখান থেকে কোন রকম চিকিৎসা না করে উত্তরবঙ্গ ম্যাডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পাঠায় । এরপর সোমবার ওই কিশোরকে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসকে দেখিয়ে আনেন । এবং সন্ধা নাগাদ ওই কিশোরের মৃত্যু হয় । এরপর পরিবারের লোকজন বাগানের ম্যানেজারের কাছে গেলে ম্যানেজার কোন কিছু বলতে চাইনি । এই বিষয়ে স্থানীয় রোহিত ফর্জা বলেন যে কিশোরটি পায়ের সংক্রমণে অসুস্থ ছিল। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বাচ্চাটি চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে চাইলেও বাগানের ম্যানেজার সেই দায়িত্ব নিতে দেয়নি । পাশাপাশি বাগানের চিকিৎসা ব্যবস্থা ও অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেন । বাগানের অপর শ্রমিক রেশমা এক্কা বলেন যে আমরা যখন ম্যানেজারের কাছে গিয়েছিলাম তখন বাগানের ম্যানেজার আমাদের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন।
এরপর বাগান ম্যানেজার নিজেই পুলিশকে খবর দেয় । এবং পুলিশ গভীর রাতে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে উত্তরবঙ্গের ম্যাডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায় । এদিন সকাল থেকেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের মধ্যে একটা বিক্ষোভ তৈরি হয় । এবং শ্রমিকরা বাগানের ম্যানেজারের বাংলোর সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন । এর পাশাপাশি বাগানের ম্যানেজারের সাথে কথা বলার দাবি জানাতে থাকে । এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বাগডোগরা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এরপর পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়।
