এই মুহূর্তে জেলা

সাংসদ প্রসূনের উদ্যোগে হাওড়ার সরকারি হাসপাতালে ট্রু ন্যাট মেশিন।

হাওড়া , ১০ আগস্ট:- হাওড়ার সাংসদ তহবিলের অর্থে টি এল জয়সোয়াল হাসপাতাল, গাববেড়িয়া হাসপাতাল এবং হাওড়া জেলা হাসপাতালে মোট ৩৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তিনটি ট্রু ন্যাট যন্ত্র স্থাপন করা হল। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভবানী দাস, হাওড়া জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এতদিন হাওড়া থেকে সংগৃহীত করোনা পরীক্ষার নমুনা কলকাতার স্কুল ওফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হতো, আজ থেকে সরাসরি হাওড়াতেই এই পরীক্ষার সুযোগ মিলবে। কাল পর্যন্ত যে রিপোর্ট পেতে দুই দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো, এখন রিপোর্ট সঙ্গে সঙ্গে হাতে আসবে এবং চিকিৎসা শুরু হবে।

হাসপাতালগুলিতে এই আধুনিক যন্ত্র বসাতে পেরে খুবই ভালো লাগছে বলে প্রসূনবাবু জানান।হাওড়ায় সরকারি হাসপাতালগুলিতে আরও বেশি সংখ্যায় করোনা পরীক্ষার জন্যই এবার উদ্যোগ নিলেন হাওড়ার সাংসদ। সোমবার নিজের সাংসদ তহবিলের টাকা থেকে হাওড়া জেলা হাসপাতাল, টিএল জয়সোয়াল হাসপাতাল ও গাববেড়িয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে একটি করে মোট তিনটি করোনা পরীক্ষার ‘ট্রু-ন্যাট’ মেশিন দেন তিনি। এর জন্যে খরচ পড়েছে ৩৪ লক্ষ টাকা। এদিন এই উপলক্ষে হাওড়া জেলা হাসপাতালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। প্রসূনবাবু এদিন বলেন, এর ফলে হাওড়ায় আরও বেশি সংখ্যক মানুষের করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। আর তাড়াতাড়িও পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যাবে।

এখন সবক্ষেত্রেই পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠানো হতো। রিপোর্ট আসতে অন্তত দু’দিন সময় লেগে যেত। ফলে ক্রিটিক্যাল রোগীদের চিকিৎসা শুরু করতে খুবই সমস্যা হতো। এখন আর সেই সমস্যা থাকবে না। এই মেশিনে দু’ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যাবে। ফলে ক্রিটিক্যাল রোগী দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যাবে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভবানী দাস বলেন, এক একটি মেশিনে প্রতিদিন ২৫টি করে করোনার পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। মূলত জরুরি ও সংকটজনক রোগীর ক্ষেত্রেই এই মেশিনের মাধ্যমে করোনার পরীক্ষা করা হবে।