রায়গঞ্জ , ৬ আগস্ট:- স্বামীর বাড়ির সামনে অনশন ও ধর্ণায় বসলেন এক নির্যাতিতা গৃহবধূ । বুধবার রাত থেকে স্বামীর বাড়ির সামনে রোদ ঝড় বৃষ্টিতেই স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য অনশন ধর্নায় বসে থাকলেও দেখা মেলেনি স্বামীর । যতক্ষন না তার স্বামী এসে তাকে ঘরে তুলবেন ততক্ষন এখানেই পড়ে থাকবেন বলে পণ করে বসে রয়েছেন ইটাহার থানার সুরুন গ্রাম পঞ্চায়েতের পাড়াহরিপুর গ্রামের গৃহবধূ আর্শাদ আলমের স্ত্রী পারভিনা খাতুন । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়গঞ্জ থানার হাতিয়া গ্রামে । যদিও অভিযুক্ত স্বামী আর্শাদ আলম বেপাত্তা হয়ে রয়েছেন। স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য নির্যাতিতা ওই মহিলার খাবার দাবারের ব্যাবস্থা করলেও অনশনে অনড় পারভিনা । গ্রামের বাসিন্দা থেকে গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্য বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের জন্য আর্শাদ আলমকে সালিশি সভায় ডেকেছিলেন কিন্তু আর্শাদ আলম আসেনি ।
পারভিনা খাতুন অনশনে বসার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছে আর্শাদ । একের পর বিয়ে করে কিছুদিন সহবাস ও সংসার করে পালিয়ে আবার অন্য জায়গায় বিয়ে করার ফাঁদ পাতে আর্শাদ আলম নামে রায়গঞ্জ থানার হাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা । গত কয়েকমাস আগে ইটাহারের পাড়াহরিপুর গ্রামের বাসিন্দা পারভিনা খাতুনকে মুসলিম রীতি মেনে বিয়ে করে আর্শাদ। কিছুদিন সেখানে থাকার পর আচমকা এক রাতের অন্ধকারে পালিয়ে আসে সে । নতুন বৌ পারভিনা এরপর ফোন করলে আর্শাদ তাকে বলে রায়গঞ্জের বাড়িতে তার আগের বৌ আছে তাকে সে নিয়ে আসতে পারবেনা। পারভিনার অভিযোগ এরপর থেকে পারভিনার ফোন আর ধরেনা আর্শাদ । বুধবার রাতে পারভিনা বাধ্য হয়ে তাঁর স্বামী আর্শাদের হাতিয়ার বাড়ির সামনে এসে তাঁকে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে অনশন ধর্নায় বসে ।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রায়গঞ্জের হাতিয়া গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আর্শাদ আলমের দাদা রশিদুল আলম জানিয়েছেন , এখানে তার ভাই থাকেনা। দুমাস ধরে তাঁকে পাওয়া যাচ্ছেনা তবে ফোনে তাদের সাথে যোগাযোগ রয়েছে বলে স্বীকার করেন আর্শাদের দাদা রশিদুল । এদিকে আর্শাদের কোনও খোঁজ না মিললেও তার বাড়ির সামনে ধর্না অনশনে অনড় হয়ে বসে রয়েছেন প্রতারিতা গৃহবধূ পারভিনা খাতুন। তার বক্তব্য এখানে বসে থেকেই না খেয়ে মরে যাবেন তিনি তবুও আর্শাদের বাড়ির সামনে থেকে যাবেন না। স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য আইনুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, আর্শাদের সম্পর্কে এর আগেও এধরনের অভিযোগ ছিল । পারভিনা খাতুনের বিষয়টি আলোচনায় বসে মিটিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হলেও সে আসেনি। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।