এই মুহূর্তে জেলা

আমফান দুর্নীতিতে দল থেকে সাসপেন্ড পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে পদ থেকে অপসারণের দাবিতে এবার ব্লক অফিসে বিক্ষোভ তৃণমূলের।

হাওড়া , ৩০ জুলাই:- আমফান ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতিতে দল থেকে সাসপেন্ড তৃণমূল নেতা সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জয়ন্ত ঘোষকে পদ থেকে অপসারণের দাবিতে এবার ব্লক অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা । চলতি মাসের ১০ তারিখ তৃণমূল কংগ্রেসের তৎকালীন জেলা সদর সভাপতি অরূপ রায় সাংবাদিক সম্মেলন করে এই জয়ন্ত ঘোষকে সাসপেন্ডের কথা ঘোষণা করেছিলেন । তিনি এও বলেছিলেন, যাঁদের সাসপেন্ড করা হল তাঁদের নিজ নিজ পদ থেকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে না হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে । অভিযোগ , পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জয়ন্ত ঘোষকে দল সাসপেন্ড করা সত্ত্বেও গত ২৭শে জুলাই তিনি একটি হেলথ এর মিটিং করেছেন। এর আগের সপ্তাহে আন্দুল কলেজের কাছে একটি ঘটনাতেও উনি অভিযুক্ত হন । তিনি এখনও জামিন পাননি । তা সত্ত্বেও তিনি বিডিওতে এসেছেন মিটিং করছেন। এর প্রতিবাদেই আজ তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান।

আন্দোলনকারীদের বক্তব্য,সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তিনি এখন বহিষ্কৃত। তার এখান থেকে পদত্যাগের দাবি করছি। আগামী দিনে যাতে উনি এই কাজ আবার না করেন তার দাবি জানাচ্ছি। দলে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি থাকা সত্ত্বেও উনি সাসপেন্ড হবার পরে কি করে বিডিও অফিসে আসছেন এই ব্যপারটি বিডিও, থানার আইসি’র কাছেও জানানো হয়েছে। যাতে জয়ন্ত ঘোষ এখান থেকে সরে যায় তাও অনুরোধ করা হয়েছে। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে। দলের পক্ষ থেকে তাঁকে পদত্যাগ করতে বলা সত্ত্বেও তিনি নির্দেশ মানেননি। দুর্নীতিগ্রস্ত এই নেতাকে অবিলম্বে এই চেয়ার ছাড়ার জন্য আবেদন জানান বিক্ষোভকারীরা। উল্লেখ্য, আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নিয়ে দুর্নীতির জেরে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল সাঁকরাইল গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জয়ন্ত ঘোষকে। যতদিন তদন্ত চলবে ততদিন তিনি সাসপেন্ড থাকবেন বলে দল থেকে জানানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল যারা সাসপেন্ড হয়েছেন তারা যদি অবিলম্বে পদত্যাগ না করেন তাহলে এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগ, এই নির্দেশ অমান্য করেছেন ওই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।