এই মুহূর্তে জেলা

করোনা যোদ্ধা হয়েও আজ অচ্ছুৎ , পরিবারের থেকে মুখ ফিরিয়েছে প্রশাসনও।

সুদীপ দাস , ২৫ জুলাই:- করোনা রোগীর সেবা করতে গিয়েই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সেই করোনা যোদ্ধাই আজ অচ্ছুৎ। বারংবার বলেও বাড়ির অাবর্জনা নিতে আসছে না পৌরসভা। গোটা পরিবার কি খাচ্ছে সরকারীভাবে তাঁরও কোন খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছেনা বলে অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার ৩০নম্বর ওয়ার্ডের তালডাঙ্গা গুপ্ত গলির। এই ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা পঞ্চাশোর্দ্ধ এক মহিলা হুগলির একটি সরকারী কোভিড হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী (সিস্টার)। হাসপাতাল থেকেই তিনি কোভিড আক্রান্ত হন। একই সাথে তাঁর স্বামীও আক্রান্ত হন। তবে ওই দম্পতির বাড়িতে থাকা তাঁদের দুই ছেলে-মেয়ের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

বর্তমানে টানা ১৩দিন ধরে গোটা পরিবার কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ এই ১৩দিন ধরে ওই পরিবারের বাড়িতে বাজার পৌঁছনো তো দূরঅস্ত সরকারীভাবে নুন্যতম স্বাস্থ্যের খোঁজখবর পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। বারংবার জানানো সত্ত্বেও বাড়ির জমে থাকা আবর্জনাও পুরকর্মীরা নিতে আসেনি বলে অভোযোগ। ফলে বস্তাবন্দি জমে থাকা সেই দৈনন্দিনের আবর্জনা থেকে সংক্রমনের আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত ওই দম্পতির সন্তানেরা বলেন প্রতিবেশীরাই আমাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যাবস্থা করেছে। টানা ১৩ দিন ধরে আমরা নিভৃতবাসেই রয়েছে।

আজ বাবা-মা অনেকটাই সুস্থ। এতদিন পর হঠাৎ আজ আমাদের গুপ্তগলিটা কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় এনে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে গেলো। এটার মানে কি? এখন মনে হচ্ছে মা সরকারীভাবে করোনা রোগীর সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হলো। এটাই বুঝি তাঁর অন্যায়? একই বক্তব্য প্রতিবেশীদেরও। তাঁরা বলেন একজন করোনা যোদ্ধা আক্রান্ত হলে যদি তাঁর নুন্যতম দায় সরকার না নেয় তাহলে সাধারনের ক্ষেত্রে কি হবে? এবিষয়ে আজ একাধিক পুর আধিকারকদের সাথে যোগাযোগ করা হলেওখেউ ফোন ধরেনি!!