এই মুহূর্তে জেলা

চোপড়ায় ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনাকে আত্মহত্যার ঘটনা সাজাতে চাইছে পুলিশ – রাজু বন্দোপাধ্যায়।

চোপড়া , ২০ জুলাই:- ” চোপড়ায় ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনাকে আত্মহত্যার ঘটনা সাজাতে চাইছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পুলিশ । এটা মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নাটক। ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আমাদের আন্দোলন জারি থাকবে “। চোপড়ায় কিশোরী মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সোমবার চোপড়ায় এসে একথা জানালেন বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি রাজু বন্দোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতির দোহাই পুলিশ আমাদের চোপড়ায় বসলামপুরে মৃতা ওই ছাত্রীর বাড়িতে যেতে আটকে দিয়েছে। আমরা অশান্তি চাইনা।

পুলিশ আমাদের সাতদিন সময় দিয়েছে দোষীদের গ্রেফতারের। সাতদিনের মধ্যে মূল অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হলে সারা উত্তরবঙ্গজুড়ে ভয়ঙ্কর আন্দোলনে নামবে বিজেপি। তিনি এও হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, বিজেপি নেতা ও সাংসদদের মৃতা কিশোরীর গ্রামে যেতে আটকে দিল পুলিশ কিন্তু যদি কোনও তৃনমূল কংগ্রেস নেতা মন্ত্রী ওই গ্রামে যান তাহলে আমরাও সদলবলে ওই গ্রামে যাবো। বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি রাজু বন্দোপাধ্যায় আরও বলেন, সারা রাজ্যজুড়ে আদিবাসী মানুষদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দল। চোপড়ায় কিশোরী ছাত্রীর নৃশংস হত্যাকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা। উল্লেখ্য,

রবিবার সকালে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার সোনাপুর গ্রামপঞ্চায়েতের বসলামপুর এলাকায় মাধ্যমিক উত্তীর্ণা এক কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওই কিশোরীকে ধর্ষন করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। চোপড়ায় আন্দোলনে শামিল হতে আসেন বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি রাজু বন্দোপাধ্যায়, কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামানিক, বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। যদিও মৃতা কিশোরীর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে এবং ধর্ষনের কোনও প্রমান মেলেনি। পুলিশের এই রিপোর্ট মানতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব।