এই মুহূর্তে জেলা

সামান্য ভূলে বিভ্রান্তি , আচমকা বন্ধ করে দেওয়া হলো চুঁচুড়া-নৈহাটি লঞ্চ সার্ভিস।

সুদীপ দাস , ১০ জুলাই:- সামান্য ভূলে বিভ্রান্তি ছড়ালো ফেরী ঘাটে। আচমকা বন্ধ করে দেওয়া হলো চুঁচুড়া-নৈহাটি লঞ্চ সার্ভিস। তবে সঠিক খবর আসতেই আবার চালু হলো লঞ্চ চলাচল। শুক্রবার দিনভর এই নিয়েই সরগরম রইলো চুঁচুড়া লঞ্চ ঘাট। আপাতত বন্ধ করার কথা ছিলো চুঁচুড়ার তামিলিপাড়ার বকুলতলা ঘাটের নৌকা পরিষেবা। সেই মর্মেই চন্দননগর কমিশনারেটের ট্র্যাফিক বিভাগ থেকে নির্দেশ জারি করা হয়। কিন্তু ট্র্যাফিক অফিস থেকে প্রথমে পুলিশ কর্মীরা গিয়ে ভূলবশতঃ চুঁচুড়া লঞ্চ ঘাটে সেই নির্দেশ বলবৎ করে দেয়। যার জেরে সকাল ১১টা নাগাদ হঠাৎই বন্ধ হয়ে যায় চুঁচুড়া-নৈহাটি ফেরী সার্ভিস। এদিন সকাল ৬টা থেকে এই পরিষেবা চালু থাকায় ওপারের বহু মানুষই এপারে আবার এপারের বহু মানুষই তখন ওপারে ছিলেন। তাই যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হতে পারে বলে তখন আশঙ্কা করছিলো ফেরির সার্ভিসের কর্মীরাও।

কিন্তু ঘন্টাখানেকের মধ্যেই পুনরায় পুলিশ কর্মীরা তাঁদের ভূলের কথা জানিয়ে দিয়ে এই ঘাটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বলে। তারপর থেকে আবারও পরিষেবা চালু হয়। যদিও সেসময় অনেকেই জেনে গেছেন চুঁচুড়া লঞ্চ ঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। তাই পরে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হলেও এদিন যাত্রীদের সংখ্যা ছিলো তুলনামূলক কম। যদিও এবিষয়ে চুঁচুড়া-নৈহাটি ফেরী সার্ভিসের কর্মী দেবাশীষ সিংহ বলেন পুলিশ ভূল করলেও সাময়িক সময়ের মধ্যে তা সুধরে নেওয়ায় সেভাবে অসুবিধা হয়নি। অন্যদিকে ততক্ষনে তামলিপাড়ার বকুলতলা ঘাটের নৌকা পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুক্রবার ভোর থেকেই এই পরিষেবা চালু ছিলো। তাই নৈহাটি ছাই ঘাট থেকে অনেকেই কাজের সূত্রে এপারে অনেকেই তখন ওপারে পৌঁছে গেছেন। ওপার থেকে আসা সঞ্জয় সরকার নামে সেরকমই একজন বলেন ট্রেন বন্ধ এখন আমি কি করবো? আজ নির্দেশিকা জারি করে আগামিকাল থেকেই এই ঘাট বন্ধ করা উচিৎ ছিলো।