এই মুহূর্তে জেলা

২০২৪ এ হুগলির লকেট কে পায়ের নূপুর করে ফেলে দেব – পোলবায় বিস্ফোরক কল্যাণ।

তরুণ মুখোপাধ্যায় ,২৭ জুন:- গত তিন মাস ধরে যখন মানুষ মারণব্যাধিতে দিশেহারা তখন বিজেপি নেতাদের ময়দানে কেউ দেখতে পাননি। ওদের একমাত্র কাজ হচ্ছে বিদ্বেষ ছড়ানো ।এখানকার যিনি সাংসদ আছেন সেই লকেট চ্যাটার্জি কতদিন তাকে দেখতে পেয়েছেন বিপদের দিনে মানুষের পাশে। তার একমাত্র কাজ লিপস্টিক মেখে , ফেস পাউডার দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় উস্কানি দিয়ে চলেছেন । আর সাংবাদিকরাও তার পেছনে পেছনে ঘুরছে । কল্যানবাবু বলেন নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে যে সমস্ত ইস্যু আছে সেই ইস্যুগুলি নিয়ে আমরা আন্দোলন করতে পারি। কিন্তু আমরা তা করবো না কারণ এখন আন্দোলনের সময় নয়। বিজেপির হাতে তো কোনো এজেন্ডা নেই খালি মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করা ছাড়া। আর ওদের কিছু কিছু নেতা যারা চেঁচিয়ে চলেছে ভেঙে দেবো উড়িয়ে দেবো থানা জ্বালিয়ে দেব এইসব গরম গরম কথা ।

শ্রীরামপুরের সাংসদ বলেন আরে বাবা আমরা কি চুড়ি পড়ে বসে আছি। ৩৪ বছর ধরে আমরাও রাজনীতি করছি আমরা জানি এর কিকরে মোকাবিলা করতে হয়। এর সঙ্গে সঙ্গে তাকে প্রশ্ন করা হয় হুগলী-চুঁচুড়া পুরসভার চাকরির নিয়োগ বাতিল নিয়ে। তার উত্তরে তিনি জানান আমি প্রথম এ ব্যাপারটা মন্ত্রীর নজরে নিয়েছি এবং ওটা বাতিল হয়ে গেছে । কিন্তু আমার প্রশ্ন গুজরাটের ফলস ভেন্টিলেটর দিয়ে বেশকিছু করো না রোগী মারা গেল সেটা নিয়ে তো কেউ প্রশ্ন করছে না ।কোন বিজেপি নেতার ছেলের সুপারিশে ওই সংস্থাটি লাইসেন্স পেয়েছিল বরাত পেয়েছিল সেটা নিয়ে তো কেউ কিছু বলছে না। কল্যান বাবুর কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল যে লকেট চ্যাটার্জি সায়ন্তন বসু এবং দিলীপ ঘোষরা বলছেন যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে হুগলি থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করবে। উত্তরে কল্যান বাবুর বক্তব্য আমরা ছোটবেলায় একটা গান গাইতাম কুড়ি সপ্নে মে আতি হায়।

কিন্তু কুড়ি স্বপ্নেই থেকে গিয়েছিল বাস্তবে কোনদিন আসেনি । তাই এখানকার বিজেপির যে স্বপ্ন সেটা কোনদিনই বাস্তবায়িত হবে না। যে আপনারা লিখে নিন পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে এখানকার বিধানসভাযে ১৮ টা সিট আছে সেই ১৮ টাই আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেব । এবং তিনি আবারও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হবেন । এর সঙ্গে তিনি বলেন ২০২৪ এখানকার হুগলির লকেটকে আমরা পায়ের নুপুর এ পরিনত করব । তিনি তীব্র সমালোচনা করে বলেন কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে পেট্রোপণ্যের মূল্য বাড়িয়েছে। তাতে মানুষ জেরবার। যখন সারা পৃথিবী জুড়ে পেট্রোপণ্যের দাম কমছে সেখানে আমাদের দেশের অপদার্থ সরকার পেট্রোপণ্যের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিপদের মধ্যে ফেলছেন এবং জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে । আজ সুগন্ধা এবং পোলবা এলাকায় চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার এর উদ্যোগে দুটি সবজি হাট বসানো হয় সেই সবজি হাটের উদ্বোধন করতে আসেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় । এই অনুষ্ঠানে এলাকার গরিব সাধারণ মানুষের মধ্যে সবজি এবং খাদ্যবস্তু তুলে দেন কল্যান বাবু।