এই মুহূর্তে জেলা

রাস্তা নির্মাণ নিয়ে বিবাদ , সভাপতির গাড়িতে ভাঙচুর। উঠল গুলি চালানোর অভিযোগ।


মালদা , ২৫ জুন:- শাসকদলের ফের প্রকাশ্যে গোষ্ঠী কোন্দল কে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর | রাস্তা নির্মাণের কাজ ঘিরে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জুবেদা বিবি কে রাস্তায় আটকে গাড়ি ভাঙচুর করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এলাকার জেলা পরিষদ কর্মাদক্ষ মমতাজ বেগমের স্বামী আমিনুল হকের বিরুদ্ধে। সভাপতি জুবেদা বিবিকে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, শিশাতলা থেকে কুমেদপুর পর্য়ন্ত সাত কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের জন্য আট কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। বুধবার ঠিকাদারকে নিয়ে তার থাকার বন্দোবস্ত করতে এলাকায় গিয়েছিলেন জেলা পরিষদ সদস্যা মমতাজ বেগমের স্বামী আমিনুল হক। সে সময় বিকেলে ব্লক অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন আসরাফুলের স্ত্রী জুবেদা বিবি। সেখানে রাস্তায় গাড়ি আটকে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। গাড়ি ঘুরিয়ে একটি বাড়িতে ঢুকে পড়েন জুবেদা। সেখানে বাড়িতে ঢুকে আমিনুল হক এর দলবল নিয়ে জুবেদা ও তার সঙ্গে থাকা দিদিকে মারধর করেন। ভাঙচুর করা হয় সরকারি গাড়িটিও। আমিনুল বলেন,

সভাপতির স্বামী ওই কাজের জন্য কমিশন চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটা সম্ভব নয় জানাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদের একটি ক্লাবে আটকে মারধর করা হয়। স্থানীয়রা তা সকলেই দেখেছেন। আমি পুলিশে অভিযোগ করায় ঘটনা ধামাচাপা দিতে পরিকল্পনা করে নিজেরাই গাড়ি ভাঙচুর করেছে। সভাপতির গাড়ির ড্রাইভার রাশেদ আলী জানান তিনি গাড়ি নিয়ে সভাপতি কে সঙ্গে করে বাড়ি ফিরছিলেন এসময় আমিনুল বাবুর লোকজন মিলে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করে সভাপতিকে মারধর করে। পেটে চাকু ঠেকিয়ে মাথায় পিস্তল দেখিয়ে হুমকি দেয়। যুব নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির স্বামী আসরাফুল এর দাবি, ওই রাস্তা তার জন্য হয়েছে বলে প্রচার করায় স্থানীয়দের সঙ্গে আমিনুলের বচসা হয়। সভাপতি জুবেদা বলেন, বাড়ি ফেরার সময় গুলির শব্দ শুনে আমরা পালিয়ে একটি বাড়িতে আশ্রয় নিই। ওদের কাছে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। ওরা আমাকে তাড়া করে মারতে থাকে। গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুনেরও চেষ্টা করে। দলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদকে ঘিরে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুর বলেন , কি হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখছি।