এই মুহূর্তে জেলা

কলেজ অধ্যাপকের লালসার স্বীকার ছাত্রী শ্রীরামপুরে।

হুগলি , ১৭ জুন:- শ্রীরামপুরের একটি কলেজের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষনের অভিযোগে কলেজের এক শিক্ষক কে গ্রেপ্তার করে শ্রীরামপুর মহিলা থানার পুলিশ।অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম পার্থ তালুকদার।তিনি শ্রীরামপুরের একটি প্রখ্যাত কলেজের বোটানির অ্যাসিন্টান্ট প্রফেসর।কলেজ ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতার নারকেল ডাঙার বাড়ি থেকে পুলিশ অভিযুক্ত অধ্যাপক কে গ্রেপ্তার করে।মঙ্গলবার ধৃত কে শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক অভিযুক্ত কে চার দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে লক ডাউনের মধ্যেই কলেজের এক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করে দিনের পর দিন অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষক পার্থ তালুকদারের লালসার শিকার হয়েছেন। নানা অছিলায় ওই শিক্ষক ছাত্রী কে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষন করেছেন।পুলিশ কে ছাত্রী জানিয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষকের মোবাইল ফোনে ছাত্রীর বেশ কিছু আপত্তিজনক ছবি রয়েছে।সেই সব ছবি নিয়ে শিক্ষক ছাত্রীকে ব্যাল্ক মেল করত।পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর সময় ছাত্রী কান্নায় ভেঙে পড়ে।পুলিশ ধৃত শিক্ষকের মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে দেখছে।সেই সঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে শিক্ষকের  নামে এর আগেও বধূ নির্যাতনের মামলা রয়েছে।এ ছাড়া বর্তমানে বিচ্ছেদের মামলা চলছে।তবে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন ও দিনের পর দিন ধর্ষনের ঘটনা সামনে আসতেই অস্বস্থি বেড়েছে শিক্ষক মহলে।

তবে কলেজ শিক্ষকের আচড়ণে আশঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কলেজ পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রীর অভিভাবক বলেন, দিনের বেশির ভাগ সময় ছাত্রীরা কলেজে কাতায়।কলেজ ও কলেজের শিক্ষকেরা ছাত্রীদের জন্য নিরাপদ ভেবেই অভিভাবকেরা নিশ্চিন্ত থাকেন।কিন্তু যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ছাত্রী কে শিক্ষকের লালসার শিকার হতে হয় তাহলে সেটা খুব ভয়ের।রক্ষক যখন ভক্ষকের মতো ব্যবহার করে তখন তাকে কড়া শাস্তি দেওয়া খুবই দরকার।ছাত্রী সাহস করে এগিয়ে এসেছে।অনেক ছাত্রীর সঙ্গেই হয়ত এরকম আগেও হয়েছে।তারা ভয়ে মুখ খোলেনি।তবে আমরা চাই শিক্ষক কে কলেজ চাকরি থেকে বরখাস্ত করুক।সেই সঙ্গে আইনের মাধ্যমে ধর্ষক শিক্ষকের কঠোর শাস্তি হোক যাতে ভবিষ্যতে কখনো কোন ছাত্রীকে নির্যাতনের শিকার হতে না হয়।যদিও অভিযুক্ত শিক্ষকের গ্রেপ্তারি নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চায়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ।