নবান্ন,হাওড়া,১৮ মে:- মানুষের জীবন-জীবিকার সুরক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েই আগামী ৩১ মে পর্যন্ত রাজ্য লকডাউন চালানো হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আজ নবান্নে জানিয়েছেন চতুর্থ পর্যায় এই লক ডাউন এ অর্থনৈতিক কাজকর্মে আরো গতি আনা হবে। এজন্য অন্য বেশ কিছু ক্ষেত্রকে এই পর্যায়ে ছাড় দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন কনটেইনমেন্ট জোনএর সংজ্ঞা বদল করে সংক্রমণের নিরিখে বুথ এবং ওয়ার্ড ভিত্তিক ভাবে তাকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।তিনটি জোন যথাক্রমে – এ অর্থাৎ সংক্রমিত এলাকা , বি অর্থাৎ বাফার জোন এবং সি অর্থাৎ ক্লিন জোন। ২১ তারিখ থেকে আন্তঃজেলা বাস চলাচল শুরু করা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।এর মধ্যে বি ও সি জোনে ওইদিন থেকে সেলুন-সহ সব দোকান খোলা যাবে। তবে কঠোর ভাবে স্বচ্ছতা ও সামাজিক দূরত্বের নীতি মানতে হবে। ২৭ তারিখ থেকে হকার বাজার খোলার চেষ্টা করা হচ্ছেও বলেও তিনি জানিয়েছেন। তবে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে পুরসভা ও পুলিশের যৌথ কমিটি। মূলত জোড় বিজোড় নীতিতেই হকার বাজার খোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে । প্রত্যেক দোকানে স্যানিটাইজার রাখা বাধ্যতামূলক করা হবে। ওই দিন থেকেই দুজন করে যাত্রী নিয়ে অটো চলাচল শুরু হবে।এছাড়াও একদিন অন্তর ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি অফিস খোলা হন বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। দূরত্ববিধি মেনে হোটেল খোলায় সম্মতি দিলেও রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকবে বলে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।মুখ্যমন্ত্রী বলেন কেন্দ্রীয় সরকার চতুর্থ দফার লকডাউন এর সময় সন্ধ্যে সাতটা থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত যে নাইট কারফিউ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার তার পক্ষপাতী নয়। তবে সরকারি ভাবে কারফিউ না ঘোষণা করা হলেও লকডাউনের ছাড় ও নিয়ম শিথিল করা হলেও অকারণ জমায়েত হলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।