স্পোর্টস ডেস্কহুগলি,৮ মে:- ভারতের প্রথম মহিলা ক্রীড়াবিদ হিসেবে প্যারালিম্পিক্সে পদক জয়ী দীপা মালিককে মনে আছে? যিনি পদ্মশ্রী, খেলরত্ন পুরস্কার লাভ করেছিলেন। কিন্তু তিনি এখন হাঁটতে পারেন না। শরীরে ১৮৩টি সেলাই। কোমরের নীচের অংশ সম্পূর্ণ অসাড়। ১৯৯৯ সালে তিন বারের অস্ত্রোপচার সত্ত্বেও আটকে গিয়েছেন হুইল চেয়ারে। তবুও লড়াই থেমে নেই দীপার। এবার লড়াই কোভিড-১৯ নামক অতিমারির বিরুদ্ধে। কখনও গুরুগ্রামের রাস্তায় হুইল চেয়ারে বসেই গরীব মানুষদের খাদ্য বিতরণ করে চলেছেন। কখনও নিজের ‘কর্পোরেট ফি’-র পুরোটাই তুলে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। তিনি বলেন “চেষ্টা করছি যাতে দিন-আনে-দিন-খায় পরিযায়ী শ্রমিক বা বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষরা অভুক্ত না থাকেন”।
১৫০টি খাবার প্যাকেট তুলে দিচ্ছেন কানপুরের দৈনিক জীবিকা অর্জনকারীদের হাতে। এ রকম ৩০টি পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছে তাঁর সংস্থা। যাদের হাতে শুকনো খাবার, স্যানিটাইজার্স, ভিটামিন তুলে দেওয়া হচ্ছে। শুধু কানপুরেই নয়, জম্মুতেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। জানালেন, জম্মুর বিশেষ ভাবে সক্ষম কিছু মানুষের হাতে দু’সপ্তাহের খাদ্যসামগ্রী, ন্যাপকিন, ডায়াপারও তুলে দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয় করোনা ত্রাণে মোটিভেশনাল স্পিকার হিসেবে পাওয়া পাঁচ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করার তহবিলে দান করেছেন। দীপা সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছেন তাঁর সংস্থার পাশে দাঁড়ানোর জন্যও। উল্লেখ্য চার বছর আগে রিয়ো প্যারালিম্পিক্সে শটপাটে জিতে দেশকে গর্বিত করেছিলেন দীপা। এখন তিনি খাদ্য তুলে দিচ্ছেন অভাবীদের মুখে।









