চিরঞ্জিত ঘোষ,১ মে:- ভয়াভয় মরণব্যাধি করোনার আতঙ্কে স্তব্ধ জীবনযাত্রা।সমস্ত কিছু বন্ধ।মানুষ লকডাউন এ বাড়িতে বসে আছেন। সমস্ত পেশার মানুষরা আজকে মহা সংকটের মধ্য দিয়ে চলেছেন। বাঙালিরদের কাছে বৈশাখ মাস থেকে শুরু হয় বিয়ের মরসুম। কিন্তু এই সময় যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তাতে সমস্ত রকম অনুষ্ঠান স্থগিত হয়ে গেছে । বছরের এই কটা মাসের দিকে তাকিয়ে থাকেন ক্যাটারিং ,ডেকোরেটিং ,ইলেকট্রিকের ব্যাবসায়ীরা। অন্য বছর এই সময় থেকে যখন বাঙালি পরিবারের যুবক-যুবতীরা বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ হন । কিন্তু এবছর প্রায় সব অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।ফলে কোন সামাজিক রীতিনীতি হচ্ছে না। প্রীতিভোজ বা পার্টির বরাত আর পাচ্ছেন না ।ক্যাটারিং ব্যাবসার সঙ্গে যুক্ত যারা তাদের কাজ নেই তার সঙ্গে বিয়ে বাড়ির যারা প্যান্ডেল এর কাজ করেন যে ডেকোরেটরা তাদের এবছর কোন অর্ডার নেই অনুষ্ঠান বাড়ি সাজাবার কাজ করেন যেসব ইলেকট্রিকশিয়ানরা বা বিয়ের ছবি তোলার বরাত পান যেসব ফটোগ্রাফাররা সবাই আজ কাজ হারিয়ে লকডাউন এর কবলে পড়ে বাড়িতে বসে আছেন ।এই সংকটের দিনে কিভাবে তাদের সংসার চালাবে সেই চিন্তায় তারা বিভোর । হুগলি জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এই ধরনের ব্যবসায় সঙ্গে নিযুক্ত বেশ কয়েক হাজার মানুষ ।এদের মধ্যে চন্ডিতলার ক্যাটারিং ব্যাবসার সঙ্গে যুক্ত অতনু সাঁতরা জানালেন ফাল্গুন মাসের পর থেকে আমরা কোনো কাজ পাইনি । সম্পূর্ণরূপে আমাদের ব্যবসা বন্ধ । কি করে সংসার চালাবো তা আমরা নিজেরাই জানি না। এবং কতদিন লকডাউন চলবে তাও আমরা জানি না। আশঙ্কা যদিও বা লক ডাউন ওঠে , কিন্ত বর্তমান মানুষের যে অর্থনৈতিক অবস্থা হাল এই সংকটকালে হয়তো নমোনমো করে অনুষ্ঠান গুলি হবে। কিন্তু প্রীতি ভোজ করে খাওয়ার মতন ক্ষমতা কতটা থাকবে সেটা কিন্তু সন্দেহের বিষয় তার সঙ্গে সঙ্গে কবে যে আমাদের ব্যাবসা ঘুরে দাঁড়াবে তা আমরা নিজেরাই জানি না।