এই মুহূর্তে জেলা

কাঁচা মালের যোগান না থাকায় সমস্যার মুখে পড়েছেন শ্রীরামপুরের বিড়ি ব্যবসায়ীরা।

হুগলি,২৫ এপ্রিল:- লক ডাউনে কাঁচা মালের যোগান না থাকায় সমস্যার মুখে পড়েছেন শ্রীরামপুরের বিড়ি ব্যবসায়ীরা।মল্লিকপাড়া,তালপুকুর ও তারাপুকুরের বিড়ি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন বিড়ি তৈরির জন্য টেংগু পাতা ও তামক ও সুতো কলকাতাঁর আর্মেনিয়াম স্ট্রীট থেকে আনা হয়।কিন্তু করোনা মোকাবিলায় রাজ্যে লক ডাউন শুরুর পরেই কলকাতায় দোকান বন্ধ হয়ে গিয়েছে।যে কারণে কারখানা গুলিতে বিড়ি উৎপাদন বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।তবে লক ডাউনে যদি ব্যবস্থা বন্ধ থাকে তাহলে বিড়ি ব্যবসায়ীদের মতো বিড়ি শ্রমিকেরাও অর্থ কষ্টের কোপে পড়বেন। শ্রীরামপুর শহরে বেশ কয়েকটি বিড়ি কারখানায় প্রায় একশো জন মতো শ্রমিক কাজ করেন।শ্রমিকদের কেউ দঈনিক মজুরিতে কেউ আবার সাপ্তাহিক মজুরীতে কাজ করে।কাজের উপরে নির্ভর করে বিড়ি শ্রমিকেরা কেউ মাসে ৬ হাজার কেউ আবার ৭ হাজার টাকা উপার্জন করেন। শ্রীরামপুর তারাপুকুরের একটি বিড়ি কারখানার মালিক রঙ্গলাল কর্মকার বলেন, লক ডাউনে বিড়ি কারখানার উৎপাদন বন্ধ।যেটুকু কাঁচা মাল মজুদ ছিল সেগুলিও শেষ হয়ে গিয়েছে।সপ্তাহে প্রায় ৩৫ হাজার বিড়ি তৈরি হত।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                              করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় লক ডাউনের জেরে কলকাতায় বিড়ির কাঁচা মালের পাইকারি বাজার বন্ধ।এ ছাড়া বিড়ি কারখানার শ্রমিকেরা কেউ কাজ আসছেন না।অনেকে অন্য জেলা থেকে কাজ করতে আসতেন।তারাও বাড়ি চলে গিয়েছে।কারকাহানা বন্ধ থাকলেও শ্রমিকদের এই সময়ে টাকা দিতে হচ্ছে।যদি লক ডাউন আরো এক মাস বহাল থাকে তাহলে আমাদের ব্যবসার হাল খুব করুন হবে।তালপুকুরের একটি বড় বিড়ি কারখানার মালিক মনোরঞ্জন দেবনাথ বলেন, কাঁচা মালের অভাব রয়েছে।এ ছাড়া লক ডাউনে বিড়ি কোথাও পাঠাতে হলে পঞ্চায়েত ও পুলিসের আলাদা অনুমতি নিয়ে গাড়ি পাঠাতে হচ্ছে।আমাদের কারখানায় মাসিক ৩২ লক্ষ বিড়ি উৎপাদন হয়।এখন কারখানা বন্ধ জানিনা কী ভাবে অবস্থা সামাল দেব।বিড়ি কারখানার শ্রমিক ভোলা দেবনাথ বলেন, কারখানা বন্ধ হতে সমস্যা দেখা দিয়েছে।কারণ আমরা দৈনিক মজুরীতে কাজ করতাম।কাজ নেই হাতে অর্থ নেই।কারখানার মালিক কিছু টাকা অগ্রিম দিয়েছে।সেই দিয়েই সঙ্গসার চলছে।কিন্তু যদি আরো কিছুদিন কারখানা বন্ধ থাকে তাহলে আমাদের পেটের ভাত জোটানো কঠিন হবে।আমাদের খুব চিন্তা হচ্ছে।

There is no slider selected or the slider was deleted.

There is no slider selected or the slider was deleted.