এই মুহূর্তে জেলা

রাসায়নিকের রস নেই ; গাছের রসই ভরসা মদ্যপায়ীদের !

 

সুদীপ দাস,১৬ এপ্রিল:- লকডাউনে বাদ সেঁধেছে সুরা। ঝাঁপ বন্ধ দেশী – বিদেশী মদের দোকানে। প্রথম-প্রথম মদের দোকান খুলছে বলে অনেক গুজবই ছড়িয়েছে , কোলকাতা পুলিশকে রিতিমত বিবৃতি দিয়ে সেই খবর যে ভূল তা স্বীকার করতে হয়েছে। তবে কালোবাজারে চড়া দামে দেদার বিকোচ্ছে মদ। বাজার দরের তুলনায় প্রায় চার গুন দামে সেই সমস্ত মদ কিনছেন সমাজের বেশ কিছু মানুষ। তবে যাদের ট্যাকে জোর অথচ মনে রয়েছে ব্যাপক সুরার টান , তাঁরা যায় কোথায় ? বিকল্প যে একটা দরকারই ! নিয়মের বেরাজালে কাশির সিরাপ পাওয়াও দুর্বিসহ। চেষ্টা করলে পুলিশের আড়ালে মেলা চোলাই মদ জুটতে পারে ! কিন্তু তাতে যে কটু গন্ধ। দোকান খোলা থাকলে চোলাইয়ের কথা ভাবতেই পারতেন না সেই মানুষরা। সূর্য ডুবলেই যাদের বিদেশী বোতলের কথা মনে পড়তো , তাঁরা এখন সাতসকালে দেশীয় খাঁটি রসে আসক্ত হতে শুরু করেছেন। রাতে নিলেও চলে , তবে এর উৎপাদন যে সকালে। তাই সকাল-সকাল জোগার করে রাখতেই হবে। হুগলির বিভিন্ন প্রান্তে এখন রমরমিয়ে চলছে তাড়ির ব্যাবসা। মুলতঃ খেঁজুর ও তালের রস দিয়েই তাড়ি তৈরী হয়। এখন ১ লিটারের বোতলে দেদার বিকোচ্ছে তাড়ি। দাম ১৫০-২০০ টাকা। গাছ থেকে খাঁটি রস নামিয়ে , পুরনো তাড়ির সাথে মিশিয়ে নেশার ট্যাবলেট এন-১০ গুলে দিলেই হলো। বিশেষজ্ঞদের নেশার অনেক ফরম্যাট রয়েছে। চোলাইয়ের নেশা, দেশি-বিদেশী মদের নেশা, তামাকের নেশা, সিদ্দির নেশা এগুলো একে অন্যের থেকে নার্ভে আলাদা রমক এফেক্ট করে। নেশাও তাই হয় ভিন্ন ধরনের। তাই লকডাউনের বাজারে নাইবা হলো।   হাল্কা আলোর নীচে বসে বিদেশি সরাবে চুমুক, সাতসকালে প্লাস্টিকের গ্লাসে তাড়ির চুমুকই সই !!!!

There is no slider selected or the slider was deleted.

There is no slider selected or the slider was deleted.

There is no slider selected or the slider was deleted.