তন্ময় সিংহ,১৪ এপ্রিল:- দেশে ৩ মে পর্যন্ত বাড়ল লকডাউন। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির উদ্দেশে ভাষণে জানিয়েছেন, করোনা মোকাবিলায় এই পদক্ষেপ জরুরি। মুখ্যমন্ত্রীরাও এই কথা বলেছেন। হটস্পটগুলিকে কড়া নজরে রাখতে হবে। নতুন হটস্পট করতে দেওয়া যাবে না। ২০ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যগুলিতে কেমন লকডাউন পালন হচ্ছে তার নিবিড় মূল্যায়ন করা হবে। যেখানে হটস্পট কমবে বা থাকবে না, সেখানে কিছু জরুরি ক্ষেত্রে শর্তাধীন ছাড় দেওয়া হবে। তবে শর্তপালন না করলে অনুমতি প্রত্যাহার করা হবে, এ সম্পর্কে সরকারের তরফে বুধবার বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। বারো মাসের তেরো পার্বন, বাঙালীর। শুরু হয় পয়লা বৈশাখের আমেজে আর হুল্লোড়ে। বাঙালির বছরের শেষ পার্বণ চৈত্র সংক্রান্তির গঙ্গাপ্রাপ্তির পরেও নতুন আশা নিয়ে সকাল বেলায় আপামর ভারতবাসী হয়তো আজ একলা হয়ে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে জমায়েত করেছিল টিভির সামনে। না এবার প্রধানমন্ত্রী কোনো টাস্ক দেননি, নতুন কোনো আশ্বাস দেননি, পুরোনো কোনো স্কীম কে নতুন মোড়কে পেশ করেননি, তিনি দেশবাসীকে সাতটি আবেদন রেখেছেন। এরই সাথে আশ্বাস দিয়েছেন লকডাউন ৩ রা মে পর্যন্ত চললেও আংশিক শিথিল হবে ২০ ই এপ্রিলের পর থেকে এলাকাভিত্তিক।
অথচ প্রত্যাশার পারদ ছিলো আকাশছোঁয়া, কার্গিলের যুদ্ধের পর প্রধানমন্ত্রীর তহবিল উপছে পড়ছিলো কর্পোরেট ইন্ডিয়া থেকে ক্ষুদ্র ভারতীয় শিল্প সংস্থার, সাধারন ভারতীয় থেকে ইন্ডিয়ার বিলিয়নিয়ারের দানে। চীন থেকে এতোদিন সস্তা ও কমআয়ুর ছুঁচ থেকে উড়োজাহাজ আমদানি করা ভারতেও এসে পৌঁছালো করোনা ভাইরাস। জৈব অস্ত্র না রোগ সেই নির্ণয় চূড়ান্ত হওয়ার আগেই সারা বিশ্ব স্তব্ধ হয়ে গেছে চৈনিক ভাইরাসের আক্রমনে। প্রায় কুড়ি লক্ষ লোককে আক্রান্ত করে, এক লক্ষ কুড়ি হাজার মৃত্যু নিয়ে প্রায় ২১০ টি দেশে বিশ্বজুড়ে তান্ডব চালাচ্ছে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে জন্ম নেওয়া ভাইরাস। ভারতেও দশ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত ও প্রায় ২৫০ জন মৃত ইতিমধ্যে। দেশ মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে লকডাউন আতঙ্কের মধ্যে তিন সপ্তাহ স্তব্ধ। দেশ ও রাজ্য তাদের সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে এই ১৩০ কোটির দেশ ভারতে লড়াই করছে করোনা প্রতিরোধের। রেশন ব্যাবস্থা হয়েছে অভিনন্দন যোগ্য, যদিও একটা অংশের মানুষ বিশেষত পরিযায়ী শ্রমিকরা বঞ্চিত ও আটকে আছে এখনও।