এই মুহূর্তে জেলা

সম্পূর্ণ লকডাউনে আটক হাওড়াবাসীর প্রয়োজন মেটানোর জন্যে এবার পুরসভার উদ্যোগে চালু হচ্ছে কল সেন্টার।

 

হাওড়া,১১ এপ্রিল:- দেশজুড়ে লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে ৩০ এপ্রিল করা হয়েছে। তারমধ্যেই হাওড়ার কয়েকটি এলাকাকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। লোহার গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে ওইসব এলাকা। এলাকার বাইরে যাওয়া এবং বাইরে থেকে ওই এলাকায় ঢোকা বন্ধ করা হয়েছে। এই অবস্থায় এলাকার বাসিন্দাদের খাদ্যসামগ্রী পৌঁছানোর জন্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাওড়া পুরসভায় চালু করা হচ্ছে একটি কল সেন্টার। শহরবাসীর জন্যে শুধুমাত্র কাঁচা আনাজ এবং শাকসবজি বা মুদিখানার জিনিসপত্রই নয়, প্রয়োজনে রান্না করা খাবারেরও অর্ডারও দেওয়া যাবে এই কল সেন্টারের মাধ্যমে। হাওড়া পুরসভা সূত্রে এ খবর জানা গেছে। এই কাজ যৌথভাবে করবে হাওড়া পুরসভা, পুলিশ এবং একটি বেসরকারি খাদ্য সরবরারহকারী সংস্থা। হাওড়ার পুরকমিশনার বিজিন কৃষ্ণ জানান, পুরসভার একটি হেল্পলাইন নম্বর মানুষকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এই ফোনের মাধ্যমে একসঙ্গে ১০টি বাড়ির ‘অর্ডার’ নেওয়া হবে। বাজার এবং পাড়ার মুদি দোকানগুলির সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করতে এলাকার ক্লাব এবং প্রাক্তন কাউন্সিলারদের সাহায্যে নেওয়া হচ্ছে।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                           ‘অর্ডার’ পেলে কোথা থেকে কোন পণ্য কতটা নিতে হবে, সেই তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে বেসরকারি সরবরাহ সংস্থাকে। তারা তা কিনে পৌঁছে দেবে বাড়িতে। সব্জির জন্য ঠেলাগাড়ির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সব্জিবোঝাই ক’টি ঠেলাগাড়ি কোন এলাকায় বা পাড়ায় যাবে, তা নির্দিষ্ট করা চলছে। রবিবার থেকেই প্রাথমিকভাবে শুরু করার পর সোমবার থেকে এই প্রক্রিয়া পুরোপুরি চালু করা হবে। এভাবে দুধ, ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হবে। পুর কমিশনার বলেন, আমরা মানুষের সব সমস্যায় পাশে থাকছি। চাইছি তাঁরা যেন শুধু লকডাউন মেনে চলেন। পুরোপুরি লকডাউন বা সিল করে দেওয়া এলাকায় পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবার শরীরের খবর আনবেন বলেও জানান তিনি।এদিকে, হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রের খবর, মালিপাঁচঘড়ার কয়েকটি এলাকা সম্পূর্ণ লকডাউন করা হয়েছে। শহরের বেশ কিছু এলাকায় ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে নজরদারি শুরু হয়েছে। এছাড়াও সালকিয়া, গোলাবাড়ি এবং হাওড়া ময়দান চত্বরের পুরোটা জুড়েই প্রশাসনিক কড়াকড়ি রয়েছে। চলছে নাকা চেকিংও। জরুরি প্রয়োজনে রাস্তায় বেরলেও তার যথাযথ প্রমাণ পেশ করে তবেই ছাড় মিলছে।

There is no slider selected or the slider was deleted.

There is no slider selected or the slider was deleted.