এই মুহূর্তে জেলা

লকডাউন এ বন্ধ মদের দোকান , ফের সক্রিয় চোলাই এর ভাটিগুলি , হানা আবগারি দপ্তরের।

সুদীপ দাস,২ এপ্রিল:- লকডাউনের জেরে বন্ধ লাইসেন্স প্রাপ্ত দেশী ও বিদেশী মদের দোকানগুলি। যার ফলে একদিকে চরা দামে কালোবাজারে বিকোচ্ছে দেশী-বিদেশী মদ। আর অন্যদিকে যাদের পকেটে টান তারা ঝুঁকছে বেআইনি চোলাই মদের দিকে। তাই চোলাই মদের বাজারও এখন তুঙ্গে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বন্ধ হয়ে যাওয়া চোলাইয়ের ভাটিগুলি আবার সক্রিয় হয়ে উঠছে। পাশাপাশি বহু ভাটিগুলিতে আগের থেকে উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। হুগলির দেবানন্দপুরের কেষ্টপুরে অবস্থিত রাধামাধবের মন্দিরের পিছনে সরস্বতী নদীর গা ঘেষে এরকমই একটি চোলাইয়ের ভাটি চলছিলো। মাটির হাঁড়িতে করে সেই চোলাই পাকানোর জন্য সরস্বতী নদীকেই ব্যাবহার করা হত। কচুরিপানায় ঢাকা সেই নদীতেই চুবিয়ে রাখা হতো মাটির হাঁড়ি। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে আজ সেই ভাটিতেই হানা দিলো আবগারী দপ্তরের চন্দননগর ও সিঙ্গুর জেলা যৌথভাবে হানা দিলো। যদিও কোনভাবে খবর পেয়ে আগেভাগেই তল্পিতল্পা গুটিয়ে চম্পট দেয় চোলাই মদের কারবারীরা। তবে সরস্বতী নদীতে নেমে প্রচুর চোলাই ভর্তি হাঁড়ি উদ্ধার করা হয়। সেগুলিকে সেখানেই নষ্ট করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি নদী পারে চোলাই তৈরীর উঁনুনও ভেঙে দেওয়া হয়। এবিষয়ে চুঁচুড়ার আবগারী দপ্তরের অফিসার ইনচার্জ অভিক দে বলেন কেষ্টপুর এলাকা বেআইনী মদের ভাটিগুলির মধ্যে অন্যতম। লকডাউনের মরসুমে এইভাটিগুলির প্রতি আমরা আলাদা নজরে রাখছি। পাশাপাশি দেশী ও বিদেশী মদের কালোবাজারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন খবর পেলে আমরা সেইসমস্ত জায়গাগুলিতেও হানা দিচ্ছি।

There is no slider selected or the slider was deleted.

There is no slider selected or the slider was deleted.

There is no slider selected or the slider was deleted.