এই মুহূর্তে জেলা

হাওড়ায় গোটা জেলা জুড়ে লকডাউন। রাস্তায় টহল দিচ্ছে পুলিশ।


হাওড়া , ২৩ মার্চ:-  করোনা মোকাবিলায় সোমবার ২৩ মার্চ বিকাল ৫ টা থেকে লকডাউন হয়েছে হাওড়াতেও। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রবিবার এই ঘোষণা করা হয়। রেশন দোকান, মুদি, আনাজ, ফল, মাছ, মাংস, দুধের দোকান সহ অত্যাবশকীয় পণ্য এর আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সকাল থেকেই হাওড়ার বাজারগুলিতেও ক্রেতাদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। সকলেই চান যত বেশি সম্ভব খাদ্য সামগ্রী বাড়িতে মজুত করে রাখতে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু জিনিসের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছেন অনেকে। পুলিশ বাজারগুলিতে নজর রেখেছে যাতে কোনওভাবেই কালোবাজারি না হয়। তবে, লকডাউনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন হাওড়ার মানুষ। কিন্তু এরকম চলতে থাকলে অনেক মানুষের রুজি রোজগারে যে প্রভাব পড়বে তা সকলেই মেনে নিচ্ছেন।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                      হাওড়ার এক বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক অর্ণব দাস বলেন, “এই লকডাউন বৃহত্তর স্বার্থে করা হয়েছে। খাবার আমরা অল্প মজুত করে রাখতেই পারি। তবে মনে হয় না এতো কিছু সমস্যা হবে। আমরা ভাত, ডিম সিদ্ধ খেয়েও চালিয়ে নিতে পারব। যে কারণে লকডাউন করা হয়েছে সেটা যদি আমরা উপলব্ধি করতে না পারি তাহলে এনিয়ে অনেক সমস্যা হবে। অনেক দেশে করোনা সংক্রমণ এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে পরিস্থিতি তাদের হাতের বাইরে চলে গেছে। আমাদের কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার অনেক ভালো কাজ করছে। কিন্তু অনেক মানুষ এখনও সচেতন নন। চায়ের দোকানে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যারা দিন আনা দিন খাওয়া পরিস্থিতি তাদের ক্ষেত্রে এরকম চলতে থাকলে তারা এতে সমস্যায় পড়বেন।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                            আমাদেরও উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো।” হাওড়ার আরেক বাসিন্দা পেশায় জিম প্রশিক্ষক প্রমিত রায় বলেন, “সমস্যা তো হবেই। কিন্তু এই লকডাউনের প্রয়োজন ছিল। ভারতবর্ষের মতো জনবহুল দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে মহামারী আকার নেবে। সেক্ষেত্রে প্রচুর মানুষ মারা যাবে। এরজন্যই এই লকডাউন করার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা বাড়িতে কিছু মাল কিনে রেখেছি। সব মাল যদি একাই কিনে নিই তাহলে অন্য মানুষের সমস্যা হবে। তাই যতটা প্রয়োজন আমাদের ততটাই জিনিস কেনা উচিত। এরকম চলতে থাকলে অনেক মানুষের রুজি-রুটির সমস্যা হবে।”

There is no slider selected or the slider was deleted.