হাওড়া, ৯ মার্চ :- ঘৃণা, বিদ্বেষকে সরিয়ে ভালোবাসার ভুবন গড়ার আওয়াজ উঠলো বসন্ত উৎসবে। রাজীবপুর অগ্রণী পাঠাগারের উদ্যোগে ২য় বর্ষ বসন্ত উৎসবে বিভেদ ও বিভাজনের জাল ছিন্ন করে ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় করার শপথ উচ্চারিত হল। শান্তিনিকেতনের আদলে গ্রন্থাগার প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয় বসন্ত উৎসব। গ্রন্থাগারের শিশু ও কিশোর বিভাগের পাঠকরা পলাশ ফুল ও কামিনী ফুলগাছ দিয়ে মাঠ সাজান। রঙ বেরঙের কাগজের পাতা দিয়ে উৎসবের চেন ফ্ল্যাগ লাগানো হয়। গ্রামের মহিলারা রাত জেগে গোটা গ্রামের পথ আল্পনা দিয়ে সাজিয়ে তোলেন। বাধ সেজেছিল প্রাকৃতিক দুর্যোগ। গ্রামের মহিলাদের ইচ্ছা ও অদম্য জেদের কাছে হার মেনে যায় প্রকৃতিও। গান, কবিতা ও নৃত্যের ডালির সঙ্গে ছিল ক্যানভাসে তুলির টানে ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ।
কোনো এক বসন্তের শান্তিনিকেতন। বসন্ত উৎসব দেখার অভিজ্ঞতা চাক্ষুষ যাদের হয়েছে। তারা দেখেছিলেন খোলা মাঠে প্রকৃতির মাঝে। ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করতে বসন্ত উৎসবের বর্ণময় ছটা। সেই যৌলুস না থাকলেও শহর থেকে অনেক দূরে। এক অজানা গ্রামে ঠিক যেন শান্তিনিকেতন এসে পড়েছে। এমনটাই বলেছেন অনেকে। আমরা উচ্ছ্বসিত নই। তবে গর্বিত। প্রকৃতির রূপ, গন্ধ, বর্ণের স্বপ্নিল রঙে রাঙা বসন্তকে বরণ করতে ভালোবাসার উদ্যোগ। ভালোবাসাকে ছড়িয়ে দিতে প্রচেষ্টা। চারিদিকে যখন রং দিয়ে বিভাজনের অপচেষ্টা, তখন একে অপরকে বসন্তের রঙে রাঙিয়ে সম্প্রীতির বন্ধনকে অটুট রাখার দৃঢ় প্রত্যয়ের শপথের নাম বসন্ত উৎসব। প্রকৃতি বাধ সেজেছিল। রাজীবপুর গ্রামে গ্রামেরই গ্রন্থাগারের উদ্যোগে বসন্ত উৎসবের আয়োজন প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই সম। শুক্রবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত গ্রামের মহিলারা গ্রন্থাগারের পাঠকদের সঙ্গে গ্রাম্য রাস্তা আল্পনা দিয়ে সাজিয়ে তোলেন। প্রকৃতির দুর্যোগ ও ভরাবৃষ্টি সব কিছু ধুইয়ে দেয় নিমেষে। শনিবার সকালেও ছিল মেঘলা। বসন্ত উৎসব হবে কিনা ছিল সংশয়। কিন্তু বন্ধন দৃঢ় হওয়ার কারণে সংশয়ের মেঘকে সরিয়ে দিয়ে ফের শুরু হয় প্রস্তুতি। কিশোর বিভাগের পড়ুয়ারা পলাশ ফুল, বসন্তের প্রতীক সম্বলিত গাছ সাজিয়ে তোলে। গ্রন্থাগার মাঠ পেরিয়ে গ্রন্থাগারে ঢোকার প্রবেশ পথে আল্পনা দিয়ে বসন্তের আহ্বান আঁকা হয়। রাজীবপুর অগ্রণী পাঠাগারের উদ্যোগে শনিবার ২য় বর্ষ বসন্ত উৎসব ঠিক যেন মিনি শান্তিনিকেতন। খোলা মাঠে এক প্রান্তে নৃত্য, কবিতা ও সঙ্গীতের সুর ঝংকার। আরেক প্রান্তে ক্যানভাসে তুলির টানে ভালোবাসার জলছবি ফুটিয়ে তোলেন শিল্পীরা। কবিগুরুর বিশ্বভ্রাতৃত্বের আহ্বানে রঙে রঙে ভুবন সাজানোর আবেদন জানিয়ে দেন শিল্পীরা।ওরে গৃহবাসী খোল্, দ্বার খোল্………এই আহ্বানে বসন্তের রঙে রেঙে ওঠেন সকলে। মিনি শান্তিনিকেতনে কবিতা-গান-নৃত্যের সুর ছন্দে প্রকৃতিকে রক্ষার আহ্বানও জানানো হয়।Related Articles
ঢাকে কাঠি পড়তে আর একমাস বাকি নেই। চুঁচুড়ার ত্রি-মাতৃ শক্তি সংঘের দূর্গ্গা আরাধনায় সাজো-সাজো রব।
সুদীপ দাস, ২০ সেপ্টেম্বর:- হুগলীর চুঁচুড়া কামারপাড়াতে ত্রি-মাতৃ শক্তি সংঘের পরিচালনায় উত্তরাঞ্চলের দুর্গাপূজা এবছর প্রাক রজত জয়ন্তী বর্ষে পদার্পণ করতে চলেছে। এবছরের থিম “এক চিলতে একটি ছোট্ট গ্রাম”। যেখানে শহরের রাস্তা-ঘাট সহ সমস্ত কিছুই কোলাহল মুখরিত হয়ে ভরে যাচ্ছে ইট বালি কাঠ কংক্রিটের বহুতল বাড়ির চাদরে, সেখানে বর্তমানের এই প্রজন্মকে গ্রামের শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশ কেমন […]
কোয়েস আর ইস্টবেঙ্গল সম্পর্ক শেষ হয়েও হইল না শেষ ।
স্পোর্টস ডেস্ক, ৩ মে:- ফেডারেশনের চিঠির উত্তর দিল ইস্টবেঙ্গল। রবিবার লাল-হলুদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে কোয়েস-এর। তবে ইস্টবেঙ্গলের স্পোর্টিং রাইটস এখনও থেকে গিয়েছে তাদের কাছেই। তাই ক্লাব লাইসেন্সিং-এর কথা মাথায় রেখে এআইএফএফ-এর তরফ থেকে জানতে চাওয়া হয় যে বিচ্ছেদের বিষয়টি কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে? আসলে দুই সংস্থার মধ্যে বিচ্ছেদের কাগজপত্র চায় ফেডারেশন। যেখানে দুই পক্ষের সইও […]
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা মেজিয়া সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায়।
বাঁকুড়াঃ ,২ জানুয়ারি:- ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো বাঁকুড়ার মেজিয়া সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায়। শনিবার দুপুরে ঐ এলাকায় জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তরের তরফে জমা রাখা পাইনে হঠাৎই আগুন লেগে যায়। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মেজিয়া থানার পুলিশ ও দমকলের একটি ইঞ্জিন। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ […]